সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের জালোরে দলিত পড়ুয়ার মৃত্যু চাপ বাড়াচ্ছে অশোক গেহলট (Ashok Gehlat) সরকারের উপর। সরকার দলিতদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, এই অভিযোগে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেসেরই এক বিধায়ক। শুধু তাই নয়, পরোক্ষে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটও (Sachin Pilot)। এরই মধ্যে রাজস্থান পুলিশ আবার চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে।
গত ২০ জুলাই রাজস্থানের জালোর জেলার সায়লা গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক দলিত (Dalit) পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই শিশুটির চোখ এবং কানে গুরুতর চোট লাগে। স্কুলের অন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে জানা যায়, আক্রান্ত ওই পড়ুয়া শিক্ষকের বোতল থেকে জল খেয়েছিল। স্রেফ সেই অভিযোগেই ওই পড়ুয়াকে পেটানো শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে চিকিৎসার জন্য আহমেদাবাদ পাঠানো হয়। সেখানে প্রায় ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর গত শনিবার ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনায় রাজস্থানের রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিরোধী বিজেপি তো কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেই, সেই সঙ্গে দলের অন্দরেও চাপে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। ওই এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক পঞ্চানন্দ মেঘওয়াল ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, মাত্র ৯ বছরের পড়ুয়ার মৃত্যু তাঁকে ব্যাথিত করেছেন। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ। শুধু তাই নয়, কোটার ১২ জন কাউন্সিলরও পদত্যাগ করেছেন একই অভিযোগে। রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা গেহলটের বিপক্ষ শিবিরের কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটও ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন। তাতেও চাপ বেড়েছে প্রশাসনের উপর।
চাপের মুখে আবার রাজস্থানের পুলিশ (Rajasthan Police) দাবি করেছে, একই পাত্র থেকে জল খাওয়ার অপরাধে ওই পড়ুয়াকে মারা হয়নি। পুলিশ বলছে, স্কুলের পড়ুয়া এবং অন্যান্য শিক্ষকদের অনেকেই দলিত। তাঁদের সবার জন্য একটাই জল খাওয়ার বড় পাত্র আছে। তাছাড়া পড়ুয়ারাও জানিয়েছে, একই পাত্র থেকে জল খাওয়ার জন্য ওই পড়ুয়াকে মারা হয়নি। তাহলে কেন মারা হল, সেটা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.