সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স তাঁর আশির উপরে। এই বয়সেও ফুটপাতে খাবার বিক্রি করে নিজের পেট চালান আগ্রার ভগবতী দেবী। চালান না বলে চালাতেন বলাই ভাল। কারণ দোকান যে আর চলছে না! অতিমারীর (Pandemic) কবলে পড়ে রোজগারই প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের ‘রোটিওয়ালি আম্মার’ (Roti wali amma)। সেন্ট জন কলেজের সামনের ফুটপাতে তাঁর ছোট্ট দোকান। মাথার উপরে কাপড় টাঙিয়ে বসা ছোট্ট এক টুকরো জায়গা। কুড়ি টাকাতেই মেলে পেট ভরানো খাবার। কিন্তু রাতারাতি সব বদলে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমি গত পনেরো বছর ধরে এই কাজ করছি। কিন্তু এখন কোনও বিক্রিই নেই বলতে গেলে।’’
অতিমারীর কবলে পড়ে বদলে গিয়েছে জীবন। অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষকে। এক ধাক্কায় রোজগারশূন্য হয়ে পড়া মানুষরা করোনা আক্রান্ত না হয়েও পরোক্ষে শিকার হয়েছেন ভয়াবহ এক পরিস্থিতির। তাঁদেরই একজন অসহায় এই বৃদ্ধা। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ফুটপাতের উপর ছোট্ট দোকান ‘বাবা কা ধাবা’র বৃদ্ধ দম্পতির যন্ত্রণার ছবি সামনে এসেছিল। অতিমারীর কারণে দোকানের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল তাঁদেরও। দ্রুত বৃ্দ্ধের কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যেতেই সঙ্গে সঙ্গে সাড়া মিলেছিল সহৃদয় বহু মানুষের। আবারও হাসি ফুটেছিল দু’জনের মুখে। ফুটপাতের দোকানে দেখা মিলেছিল লম্বা লাইনের।
Agra: One octogenarian woman in Agra, Bhagvan Devi, popular as ‘roti wali amma’ is selling food at Rs. 20 near St. John College to earn livelihood;
She says, “I have been doing this for over 15 years. But, there’s hardly any sale these days.” pic.twitter.com/WIJEWW5Hoo
— ANI UP (@ANINewsUP) October 18, 2020
মালব্য নগরের সেই বৃদ্ধ দম্পতির মতোই এবার ছড়িয়ে পড়তে শুরু করছে ভগবতী দেবীর কথাও। টুইটারে দু’ঘণ্টায় ৪০০ জন রিটুইট করেছেন তাঁর খবর। ইন্টারনেটের ভুবনগ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে এক অশীতিপর বৃদ্ধার লড়াইয়ের আখ্যান। আপাতত আশা, ভগবতী দেবীর পনেরো বছরের চালু দোকানে আবারও লাইন বাড়বে খরিদ্দারের। ‘বাবা কা ধাবা’-র ঘটনাই সেই স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.