সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষপর্যন্ত কৃষ্ণের কথা শুনলেনই না অর্জুন! বিহার রাজনীতির প্রাজ্ঞপুরুষ লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলে ভাঙন। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দুই পুত্রের দ্বন্দ্বের মীমাংসা করতে ব্যর্থ হলেন তিনি। সোমবার আরজেডি ছেড়ে নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। যে দল হবে আরজেডি’রই অংশ। নাম হবে ‘লালু-রাবড়ি মোর্চা’। ফলত, লোকসভা নির্বাচনের মুখে মহাসংকট যাদবকুলে, আরজেডিতে। যার প্রভাব পড়বে রাজ্য-রাজনীতিতে, এমনকী বিরোধী মহাজোটেও। তবে এই বিষয়ে তেজস্বী যাদব বা আরজেডি নেতৃত্বের তরফে কোনও মন্তব্য মেলেনি।
মহাজোটের সাংবাদিক সম্মেলনের আগেই তেজপ্রতাপ আলোচনা চেয়েছিলেন তেজস্বীর সঙ্গে। বলেছিলেন, “অর্জুন তো কৃষ্ণের কথা শোনেন।” দিনের পর দিন তেজস্বীর দিক থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। অনন্তকাল তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে নারাজ তেজপ্রতাপ এরপরেই নতুন দল গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেন। সেই সঙ্গে সারন লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি নিজেই প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, লালুর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী ওই আসনে চন্দ্রিকা রাইকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তাই নিয়েই দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
চন্দ্রিকা রাই তেজপ্রতাপের শ্বশুর। তেজপ্রতাপ বলেছেন, ‘‘সারন আসনটি লালুজির পৈতৃক আসন। আমি চাই ওই আসনে আমার মা রাবড়ি দেবী লড়ুন। যদি তিনি ভোটে প্রার্থী হতে না চান, তবে আমি ওই আসনে লড়ব এবং জিতব। কারণ, সেখানকার মানুষের আশীর্বাদ আছে আমার সঙ্গে।” তেজপ্রতাপের আলোচনার ডাকে তেজস্বী সাড়া না দেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাতেই বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তেজপ্রতাপ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবে দল? সোজা ব্যাপার হল জনতার কথা শুনতে হবে। আমরা আজ যা কিছু হয়েছি তা জনতার জন্যই।’’
আরজেডির সঙ্গে তাঁর এই বিবাদে কি বিজেপি সুবিধা পাবে না? প্রশ্নের জবাবে তেজপ্রতাপ বলেন, “বিজেপির কী সুবিধা হবে, ওরা তো এমনিই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মনোনয়ন দিতে যাওয়ার আগে বাকি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। যদি ইস্তফার কথা বলেন তো তাতে আর কত সময় লাগবে!” উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই তেজপ্রতাপ টুইটারে লেখেন, “ছাত্র রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সংরক্ষক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। তারা অবোধ, যাঁরা আমাকে অবোধ মনে করে। কে, কতটা জলে ডুবে আমি সব জানি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.