সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, “বিজেপি যদি ফের ভারতের ক্ষমতায় আসে তাহলে দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার দ্রুত অগ্রগতি হবে। সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যারও।” তাঁর এই মন্তব্যের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু করে বিরোধীরা।
ইমরানের এই মন্তব্যের পিছনে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র আছে বলে অভিযোগ করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, “আমি সত্যিই বুঝতে পারি না যে এই ধরনের মন্তব্য কেন করা হয়। আসলে কংগ্রেসের অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানে গিয়ে মোদিকে সরানোর জন্য সাহায্য চান। বলেন, মোদিকে হঠানোর আমাদের সাহায্য করুন। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় তাঁদের সাহায্য করার জন্য এই কথা বলেছেন ইমরান। ইমরানের মন্তব্য মোদিকে সরানোর ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ।”
কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেছিলেন, ১৬ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তানের মাটিতে বালাকোটের মতন হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। এপ্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আমি জানি না কোথা থেকে এই তারিখগুলো পেয়েছেন উনি। ওনাকে শুভকামনা.. একমাত্র ভগবানই জানেন ভারতে ওনার খবরদাতা কে? বা এটা কার কল্পনাপ্রসূত? তবে বিষয়টি শুনে আমার খুব মজার মনে হচ্ছে।”
রাফালে মামলায় আবেদনকারীদের নথি সুপ্রিম কোর্ট খতিয়ে দেখলে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্যায় পড়তে পারে বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। তাদের সেই দাবি উড়িয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “এর ফলে আমাদের অবস্থা কোনওভাবেই দুর্বল হবে না। পুরনো অবস্থানেই অটল থাকব আমরা। আগামী শুনানির দিন এবিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের বক্তব্য আদালতের কাছে তুলেও ধরবেন। আমি মনে করি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোনও নথি যদি বাইরে বেরিয়ে আসে তাহলে তা তথ্য চুরির শামিল। কীভাবে রাফালে সংক্রান্ত নথিগুলো বাইরে বেরিয়ে এল তা মন্ত্রকের তরফে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদিকে চোর বলার জন্য রাহুল গান্ধীকে সর্তক করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর নামে মামলাও দায়ের হয়েছে। এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস সভাপতির তীব্র সমালোচনা করেন নির্মালা সীতারমণ। প্রশ্ন করেন,” সুপ্রিম কোর্ট কখন বলেছে যে, অনিল আম্বানিকে টাকা পাইয়ে দিয়েছেন মোদি? সুপ্রিম কোর্ট কখনও কি বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি চৌকিদার নয় বা তিনি চুরি করেছেন। এটা কি কোনও সংস্থার নামে করে ভুল খবর ছড়ানোর ঘটনা নয়? সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি নির্দেশই খুব ভেবে চিন্তে দেয়। কিন্তু, এখানে আদালতের মুখে নিজের কথা বসানো হচ্ছে। যদি এই বিষয়টি আদালত বিবেচনা করে দেখে তাহলে ন্যায়সঙ্গত বিচার পাওয়া যাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.