সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত কাণ্ড রাম রহিমের ডেরায়। যা কিছু বেআইনি, সবের খনি যেন বাবার তথাকথিত আশ্রম। তল্লাশি চালাতেই একের পর এক বেআইনি বিস্ফোরক জিনিসের খোঁজ মিলছে। বাজি কারখানার পর এবার ডেরায় অবৈধ গর্ভপাতেরও খোঁজ মিলল। জানা যাচ্ছে, কোনও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই গর্ভপাত হত ডেরার এক হাসপাতালে।
[ প্রবল যৌন ইচ্ছায় কাতর রাম রহিম, জানালেন জেলের চিকিৎসকরা ]
প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে থাকা বাবার এই সাম্রাজ্যে হানা দিয়ে যথেচ্ছ যৌনাচারের একাধিক নমুনা মিলেছে। শুধু দুজন সাধ্বী নয়। একাধিক সাধ্বী বাবার যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন তা স্পষ্ট। এবার ডেরার এক হাসপাতালে অবৈধভাবে যথেচ্ছ গর্ভপাত করানো হত বলেও জানা যাচ্ছে। যৌন লালসা চরিতার্থ করতে নানা ফন্দি ফিকির বের করেছিল বাবা। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাবার জন্য আনা হত সেক্স টনিক। নিজেকে যৌন সক্ষম রাখতে তা নিয়মিত পান করত রাম রহিম। বিলাসের জন্য জলের তলায় সেক্স কেভ বানিয়েছিল। অজস্র কন্ডোম ও গর্ভনিরোধকও উদ্ধার হয়েছিল। এমনকী সাধ্বীদের ঘরে পৌঁছাতে সুড়ঙ্গ খুলেছিল বাবা। তার মাধ্যমেই পৌঁছে যাওয়া যেত গুফায়। যেখানে ধর্ষিতা হয়েছিলেন দুই সাধ্বী। এই যখন অবস্থা তখন অবাঞ্ছিত গর্ভপাতের ঘটনাও বিরল কিছু নয়। ডেরার চৌহদ্দির মধ্যেই থাকা শাহ সতনম জি হাসপাতালের রেকর্ড বুকের যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়েছে। জানা যাচ্ছে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সাধারণ যে নিয়মকানুন আছে তা বাবার ডেরায় মানা হত না। ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবেই গর্ভপাত হত ওই হাসপাতালে, সন্দেহ এমনটাই। অন্তত ছটি ক্ষেত্রে এই কাজ করা হয়েছে এবং এর শিকার মূলত সাধ্বীরা এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। বাবার ডেরায় একটি স্কিন ব্যাঙ্কও ছিল, যার কোনও লাইসেন্স ছিল না। ডেপুটি কমিশনার প্রভোজৎ সিং হাসপাতলের জানিয়েছেন এই অসঙ্গতির কথা। ডেরায় যে অবৈধ গর্ভপাত হত, সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না হরিয়ানা প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[ বৈদিক ব্রাহ্মণদের সংখ্যালঘু তকমা দিতে চলেছে কেন্দ্র ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.