সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে IIT মাদ্রাজের (IIT Madras) অন্দরে। জাতি বৈষম্যের অভিযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিপিন পি. ভিত্তিল (Vipin P. Veetil)। এমন পরিস্থিতিতেই মধ্যেই আবার IIT ক্যাম্পাসের ভিতরে উদ্ধার হয়েছে অর্ধদগ্ধ দেহ। যা কিনা প্রতিষ্ঠানেরই এক অস্থায়ী অধ্যাপকের।
পরপর দুই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাসের অন্দরে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ IIT ক্যাম্পাসের হকি খেলার মাঠে অস্থায়ী অধ্যাপকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মুখ ও দেহের বেশ কিছুটা অংশ পোড়া ছিল বলে জানা গিয়েছে। অধ্যপকের নাম উন্নি কৃষ্ণাণ নায়ার (Unni Krishnan Nair)। অধ্যাপনার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার কাজও করতেন তিনি।
স্থানীয় কোট্টাপুরম থানার পুলিশ উন্নির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তা হবে রোয়াপেট্টা সরকারি হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শোনা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে। উন্নির ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, উন্নির বাবা ISRO-তে কাজ করেন। IIT মাদ্রাজের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে অস্থায়ী অধ্যাপকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানানো হয়েছে। এপ্রিল মাসের শেষে অস্থায়ী প্রজেক্ট স্টাফ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন উন্নি। ক্যাম্পাসের বাইরে তিনি ভাড়া নিয়ে থাকতেন বলেও জানানো হয়েছে। প্রথমে সহকারি অধ্যাপকের জাতি বৈষম্যের অভিযোগ। তারপর অস্থায়ী অধ্যপকের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার। দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই তো? এই প্রশ্নই উঠছে ক্যাম্পাসের অন্দরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.