সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাপরাক্রমশালী যোদ্ধা ভীমের বিক্রম থেকে এবার অনুপ্রাণিত হচ্ছে দেশের অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এবার দেশের প্রথম ‘সুপারপাওয়ার’ ড্রোন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল আইআইটি খড়গপুর। দ্বিতীয় পান্ডবের নামে ওই ড্রোনটির নাম রাখা হয়েছে ‘ভীম’। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ‘ভীম’ বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈর্ঘ্যে মাত্র এক মিটার লম্বা এই ড্রোনটির বিশেষত্ব হল, উড়ান ভরার পর আশেপাশের এক কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়াইফাই জোনে পরিণত হবে। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে ওড়ার জন্য প্রায় সাত ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ রয়েছে এই সুপারপাওয়ার ড্রোনে। লড়াইয়ের ময়দানে বা দুর্গম এলাকায় প্যারাস্যুটের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ করতে সক্ষম ‘ভীম’। এছাড়াও শত্রুদের গতিবিধি ও সীমান্তে নজরদারিও চালাতে এর জুড়ি মেলা ভার হবে। এই ড্রোনটি বানিয়েছেন সুদীপ মিশ্রের নেতৃত্বে আইআইটি খড়গপুরের গবেষকরা। এই দলের অন্য সদস্যরা হলেন আনন্দরূপ মুখোপাধ্যায়, অরিজিৎ রায় এবং এনএস রঘুবংশী।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই সুপার পাওয়ার ড্রোনটিতে রয়েছে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’। চলার পথে বাধা বিঘ্ন থাকলে তা এড়িয়ে যেতে পারবে ভীম। শুধু তাই নয় মাটিতে নামার সময় সেখানে মানুষজন আছে কিনা, তা বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও সক্ষম ড্রোনটি। গবেষকদের দাবি এর আগে এত অত্যাধুনিক ড্রোন বানায়নি ভারত। এছাড়াও, বর্তমানে নজরদারির কাজে ব্যবহৃত আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলগুলির তুলনায় ‘ভীমের’ খরচ হবে এক চতুর্থাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.