ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতভূমে রয়ে যাবে ভগবান রাম, কৃষ্ণ এবং গৌতম বুদ্ধের আদর্শ তথা পরম্পরা। আর মুছে যাবে বাবর এবং ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকার। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার উপর দিয়ে হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় বা হিন্দুদের শোভাযাত্রা চলাকালীন ধর্মীয় স্লোগান দেওয়া হলে তা সাম্প্রদায়িক হিংসার সূত্রপাত করতে পারে, এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই আলোচনার প্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য করেন বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টার বয়।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিরোধীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ধর্মীয় শোভাযাত্রা নিয়ে। কিন্তু বিরোধীদের জন্য যোগীর প্রশ্ন, “সংবিধানে কোথায় এমন কথা লেখা রয়েছে যে, হিন্দুরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় শোভাযাত্রা করতে পারবে না?” তাঁর আরও সংযোজন, “শোভাযাত্রা আটকানো হলে হিন্দুদের পক্ষ থেকেও প্রতিবাদ আসবে। তারাও অন্যদের ধর্মীয় শোভাযাত্রা আটকাবে। আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম যে, মসজিদের সামনে দিয়ে শোভাযাত্রা করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তা কারও সম্পত্তি না কি? রাস্তা তো জনসাধারণের, কেউ কীভাবে তাতে বাধা দিতে পারে?”
শুধু শোভাযাত্রা এবং রাস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে নয়, বাহরাইচে সম্প্রতি একটি হিন্দুদের শোভাযাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গেও সরব হয়েছেন আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ওই শোভাযাত্রার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে, শোভাযাত্রা থেকে নাকি উসকানিমূলক বার্তা দেওয়া হয়েছিল। আচ্ছা, জয় শ্রীরাম কি উসকানিমূলক বার্তা? তা তো নয়। জয় শ্রীরাম উসকানিমূলক স্লোগান কখনওই নয়। এটি আমাদের ভক্তির বাণী, আমাদের আস্থার প্রতীক।” আদিত্যনাথের মন্তব্য, “এবার যদি আমরা বলি যে, আমরা আল্লাহু আকবর স্লোগানটি পছন্দ করি না, তাহলে এই কথাটা তাদের পছন্দ হবে তো?” তাঁর মতে, “আমি আমার গোটা জীবন জয় শ্রীরাম, হর হর মহাদেব এবং রাধে রাধে বলে কাটিয়ে দিতে পারি। আমার আর কিছুর কোনও প্রয়োজন নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.