সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গঙ্গা এখন বৈদিকযুগের পূণ্যতোয়া। তারতবর্ষের একটা বড় অংশের মানুষ বিশ্বাস করেন যে, গঙ্গার জলে (Gangajal) বহু রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে। যে কারণে দেশজুড়ে গঙ্গাজলের চাহিদাও তুঙ্গে। কিন্তু তা বলে গঙ্গাজল যে করোনা প্রতিরোধের ওষুধ হতে পারে, তা হয়তো অকল্পনীয়। কিন্তু এই অকল্পনীয় দাবিই করছিল কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক (Ministry of Jal Shakti)। তাদের দাবি ছিল, গঙ্গার জলে আছে ব্যাকটেরিওফাজ। যা কিনা অনেক রোগই প্রতিরোধ করতে পারে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research) অর্থাৎ আইসিএমার’কে তাই গঙ্গা জল দিয়ে করোনা রোখা যায় কিনা, তা নিয়ে গবেষণা চালাতে অনুরোধ করে জল শক্তি মন্ত্রক। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আমল দিল না আইসিএমআর। তারা সাফ জানিয়ে দিল, গঙ্গা জলে করোনা রোখা যায় এমন কোনও প্রমাণই তারা পায়নি। আর তাছাড়া আইসিএমআর (ICMR) এখন প্লাজমা থেরাপি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের গবেষণা করছে। এই সময় গঙ্গা জল নিয়ে গবেষণা করে সময় নষ্ট করাটা যুক্তিযুক্ত কাজ হবে না।
গত ৩ এপ্রিল আইসিএমআর ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে ‘অতুল্য গঙ্গা’ (Atulya Ganga) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দাবি করে, গঙ্গার জলে ‘ব্যাকটেরিওফাজ’ নামের একটি ‘নিনজা ভাইরাস’ আছে। যা কিনা সার্স-কভ-২ ভাইরাসকে থামাতে কাজে লাগতে পারে। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গবেষণার কথা তুলে ধরে আইসিএমআর‘কে গঙ্গাজল নিয়ে আরও গবেষণা চালাতে অনুরোধ করে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। আইসিএমআরের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিও লেখে তারা। গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘নমামি গঙ্গে’র তরফেও আইসিএমআরকে চিঠি দিয়ে গঙ্গাজলের ‘ক্নিনিকাল ট্রায়াল’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপাতত কোনও প্রস্তাবই গ্রহণ করল না আইসিএমআর। সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও সংস্থা যদি এ নিয়ে নিজেদের মতো করে গবেষণা করতে চায়, করতেই পারে। কিন্তু আইসিএমআর এই মুহূর্তে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে ব্যাস্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.