Advertisement
Advertisement

কুলভূষণ মামলার রায় আজ, মুক্তির কামনায় প্রার্থনা দেশ জুড়ে

তবে ভারতের আশঙ্কা, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘোষণার আগেই কুলভূষণকে ফাঁসি দিতে পারে ইসলামাবাদ৷

ICJ to pronounce verdict today on Kulbhushan Jadhav case
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 18, 2017 6:26 am
  • Updated:May 18, 2017 6:30 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ যাদবের মামলায় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায়ের দিকে বৃহস্পতিবার তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কুলভূষণের মুক্তির কামনায় শুরু হয়েছে যজ্ঞ, পুজো৷ দিল্লি, মুম্বইয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কুলভূষণের মুক্তির কামনায় পথে নেমেছেন৷ আজই এই মামলার রায় জানাতে চলেছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত বা ICJ৷

গত ১০ এপ্রিল পাক আদালত প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবকে ‘গুপ্তচর’ তকমা দিয়ে কার্যত বিনা বিচারে ফাঁসির সাজা শোনায়৷ ভারত এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যায়৷ ভারত অন্তত ১৬ বার কনস্যুলার অ্যাকসেস চায় ইসলামাবাদের কাছে৷ কিন্তু প্রতিবারই সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান৷ গত ৮ মে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক আদালতে টেনে নিয়ে যায় নয়াদিল্লি৷ আদালতকে ভারত জানায়, প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসারের ফাঁসির সাজা অবিলম্বে রদ করুক পাকিস্তান৷ কুলভূষণ যাদবকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলেও আদালতকে জানিয়েছেন ভারতের আইনজীবী হরিশ সালভে৷ তবে ভারতের আশঙ্কা, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘোষণার আগেই কুলভূষণকে ফাঁসি দিতে পারে ইসলামাবাদ৷

Advertisement

চর সন্দেহে আটক করা হয়েছিল কুলভূষণ যাদবকে৷ তিনি ভারতীয় নৌসেনায় কর্মরত ছিলেন৷ অবসর গ্রহণের পর ইরানে ব্যবসার কাজে নিযুক্ত ছিলেন৷ বৈধ পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ‘র’-এর এজেন্ট সন্দেহে আটক করা হয় ও  পাকিস্তানের সেনা আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ড ধার্য করে৷ এ ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারত৷ বারবার পাকিস্তানের কাছে কুলভূষণের খোঁজ জানতে চাওয়া হয়৷ কিন্তু কোনওভাবেই সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি পাকিস্তান৷ পুরো বিচার প্রক্রিয়া সম্বন্ধেও ভারতকে অন্ধকারে রাখা হয়৷ যেভাবে কুলভূষণের বিচার হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলে ভারত৷ এই পরিস্থিতিতেই গত্যন্তর না দেখে আর্ন্তজাতিক ন্যায়বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত৷

সে রায় ভারতের পক্ষেই যায়৷ গত মঙ্গলবার কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আইসিজে৷ তা জানিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানকেও৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায় মানতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান৷ তাঁদের যুক্তি আইসিজে-র এই রায় দেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই৷ প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালে ভিয়েনা কনভেনশনে একটি অপশনাল প্রোটোকলে সই করেছিল ভারত ও পাকিস্তান৷ যাতে বলা হয়েছিল এমন কোনও সমস্যা হলে আন্তর্জাতিক আদালত এগিয়ে আসতে পারে সমাধান করার জন্য৷ তবে কুলভূষণের ক্ষেত্রে ২০০০ সালের জুন মাসের ঘটনা তুলে ধরে রায়কে অস্বীকার করছে পাকিস্তান৷  সে সময় পাকিস্তান তাদের নৌসেনার একটি নিরস্ত্র বিমানকে গুলি করে নামানোর অভিযোগ এনেছিল ভারতের বিরুদ্ধে৷ বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রতিবেশী দেশ৷ কিন্তু তখন সে ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছিল ভারত৷ যা আদালত মেনেও নিয়েছিল৷ ওই প্রসঙ্গ তুলেই আইসিজে-কে চাপে ফেলতে চাইছে পাকিস্তান৷ আজ আদালত কী রায় দেয়, সে সেদিকেই নজর থাকবে গোটা দেশের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement