কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বোঝাপড়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের নির্দেশে ছুটিতে যাওয়া সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বাড়ির সামনে থেকে গতকালই চার সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ৷ পরে জানা যায়, আটক ব্যক্তিরা আসলে ইনফরমেশন ব্যুরোর বা আইবির কর্মী৷ কিন্তু এরপরেও তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়, এই অভিযোগেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের দ্বারস্থ হলেন আইবি ডিরেক্টর রাজীব জৈন৷ অভিযোগ জানালেন, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে৷ তবে এই ঘটনা অনেকটাই ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে সিবিআই ও আইবি-র৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রধানের বাড়ির সামনে অন্য একটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাগুলির পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপরে৷ অনেকেই বলছেন, সংস্থাগুলি নিজেদের মধ্যেই তালমিল ঠিক রাখতে না পাড়লে, সন্ত্রাসবাদ আটকাতে বা বড় নাশকতার কোনও তদন্তের কীভাবে কাজ করবে?
[সিবিআই দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ, প্রতীকী গ্রেপ্তারি বরণ রাহুলের]
সূত্রের খবর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সামনে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আইবি প্রধান৷ অজিত দোভালকে জানান, আটকের পর আইবি-র পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও তাঁদের ৪ কর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে দিল্লি পুলিশ৷ তাঁদের হেনস্তা করা হয়৷ জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইবি-র সিনিয়র আধিকারিক ও বাকি দু’জন জুনিয়র কর্মী। আটকের পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় তাঁদের পরিচয়পত্র। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি গাড়ি। এই ঘটনার পরেই তাঁদের কর্মীদের পাশে দাঁড়ায় আইবি। সংস্থার তরফ থেকে জানা হয়, রুটিন তল্লাশিতেই পাঠান হয়েছিল ওই কর্মীদের।
[সিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে সিভিসি, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের]
সিবিআই-সিবিআই লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই চুনকালি পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মুখে৷ এমত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসায় আরও চাপে পড়েছে কেন্দ্র৷ এমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল৷ অনেকে বলছেন, এই তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে চাপা বিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই বজায় ছিল৷ কিন্তু বৃহস্পতিবারের ঘটনা এই বিরোধকে প্রকাশ্যে নিয়ে চলে এসেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.