সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৮ বছরের কেরিয়ারে কখনও সত্যের সঙ্গে আপস করেননি। সরকারে যেই থাক, তাঁদের কোনও অন্যায় কাজকে সমর্থন করেননি। সৎভাবে নিজের কাজটি করেছেন হরিয়ানার শীর্ষস্থানীয় সরকারি আমলা অশোক খেমকা। কিন্তু, এই সততার পুরস্কার কী পেলেন? না কোনও সরকারি পুরস্কার বা খেতাব জোটেনি তাঁর ভাগ্যে। বদলে জুটেছে শুধু বদলির বিজ্ঞপ্তি। হ্যাঁ, ২৮ বছরের প্রশাসক কেরিয়ারে ৫৩ বার বদলি হতে হয়েছে অশোক খেমকাকে।
কংগ্রেস যখন হরিয়ানার সরকারে ছিল, তখন তিনি ছিলেন বিজেপির প্রিয়পাত্র। কারণ, সরকারের কোনও ভুল সিদ্ধান্ত বা দুর্নীতিকে সমর্থন করতেন না। আবার একইভাবে বিজেপি যখন ক্ষমতায়, তখন বিরোধীদের প্রিয়পাত্র অশোক। তিনি প্রথমবার শিরোনামে আসেন ২০১২ সালে। বর্তমান কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক তথা তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার স্বামী রবার্ট বঢরার একটি জমি চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিলেন অশোক। তাঁর অভিযোগ ছিল, এই চুক্তিটি নিয়ম মেনে হয়নি। উল্লেখ্য, সেসময় ভুপিন্দর সিং হুদার সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েকটি জমি চুক্তি করে রবার্ট বঢরার সংস্থা। যা নিয়ে পরবর্তীকালে কম জলঘোলা হয়নি।
সেসময়ের সেই চুক্তি বাতিল করার জেরেও তাঁকে শাস্তি পেতে হয়। বদলি করে দেয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। তখন অবশ্য, বিজেপি তাঁকে সমর্থন করেছিল। বিরোধী আসনে থাকা গেরুয়া শিবির খেমকার বদলির সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনাও করে। ২০১৪ সালে যখন বিজেপির সরকার এল, তখন এই খেমকাই আবার তাঁদের চক্ষুশূল হলেন। একাধিকবার বিজেপি আমলেও তাঁকে বদলি হতে হয়েছে। মাস ছয়েক আগেই তাঁকে বদলি করা হয়। সেসময় হরিয়ানার বিজ্ঞান এং প্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিবের পদে বদলি করা হয়েছিল। এবার তাঁকে বদলি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সংরক্ষণাগার, পুরাতত্ত্ব এবং জাদুঘর বিভাগে। বারবার বদলি হওয়ার জেরে স্বাভাবিকভাবেই অখুশি অশোক খেমকা। তাই হয়তো টুইটারে আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখছন, সততার একটাই পুরস্কার, অপমান।
फिर तबादला। लौट कर फिर वहीं।
— Ashok Khemka (@AshokKhemka_IAS) November 27, 2019
कल संविधान दिवस मनाया गया। आज सर्वोच्च न्यायालय के आदेश एवं नियमों को एक बार और तोड़ा गया। कुछ प्रसन्न होंगे।
अंतिम ठिकाने जो लगा। ईमानदारी का ईनाम जलालत।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.