Advertisement
Advertisement

উত্তরাখণ্ডে মোতায়েন সুখোই, মিসাইলের আওতায় ‘ড্রাগন’

থাবা বাড়ালেই হবে প্রবল প্রত্যাঘাত।

IAF set to operate Sukhoi jets in Uttarakhand's Jolly Grant airfield

থাবা বাড়ালেই হবে প্রবল প্রত্যাঘাত।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 19, 2018 4:58 pm
  • Updated:February 19, 2018 4:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন দিগতাল ডেস্ক: নিশানায় ‘ড্রাগন‘। থাবা বাড়ালেই হবে প্রবল প্রত্যাঘাত। রণংদেহি মেজাজে তৈরি ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান। চিনকে টক্কর দিতে এবার উত্তরাখণ্ডে সম্পুর্ণ প্রস্তুত ভারতীয় বায়ুসেনা। শক্তি বাড়িয়ে এবার দেরাদুনের জলিগ্র্যান্ট বিমানবন্দর থেকে উড়বে অত্যাধুনিক সুখোই জেট।

[সুখোই থেকে আছড়ে পড়বে বিধ্বংসী ‘ব্রহ্মস’, বেকায়দায় চিন-পাকিস্তান]

Advertisement

বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি ১৯ বা সোমবার ওই বিমানবন্দর থেকে প্রথম উড়ান ভরবে অত্যাধুনিক ‘Su-30 MKI’। আগামীকাল বা মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে দফায়-দফায় ওই অঞ্চলে উড়ান ভরবে দু’টি যুদ্ধবিমান। বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, চিন সীমান্তের কাছাকাছি ওই এলাকা সম্পর্কে পাইলটদের ওয়াকিবহাল করে তুলতেই এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদশে একাধিকবার ভারতীয় বায়ুসীমা লঙ্ঘন করেছে চিনা যুদ্ধবিমান। মনে করা হচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে লালফৌজ। তাই এবার তৈরি হচ্ছে ভারতও। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোকলামে আপাতত পিছু হঠলেও, আগ্রাসন থামাবে না কমিউনিস্ট দেশটি। মাওয়ের আমল থেকেই কূটনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করতে সামরিক শক্তির ব্যাবহার করে এসেছে বেজিং।

প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরে আনাগোনা বেড়েছে চিনা নৌসেনার। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে একাধিকবার নোঙর ফেলেছে লালফৌজের রণতরী। ফলে ৬১ সালের ভুল ফের করতে চায় না দিল্লি। জলিগ্র্যান্ট বিমানবন্দরের পদক্ষেপে এমনটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গত বছরে থেকেই ৪০টি সুখোই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে সেনা। চিন ও পাকিস্তানের কাছ থেকে লাগাতার হামলার হুমকি পাওয়ার মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য অবিলম্বে এই প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি হয়ে পড়েছিল।

কেন্দ্রের লক্ষ্যই হল, একইসঙ্গে দু’মুখো যুদ্ধ শুরু হলে ভারত যেন পালটা মাত দিতে পারে শত্রুদের। সব মিলিয়ে প্রায় ২.৫ টনের এক একটি ব্রহ্মস মিসাইল শব্দের চেয়ে প্রায় তিনগুণ দ্রুতবেগে ছুটে গিয়ে টার্গেটকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। এর রেঞ্জ ২৯০ কিলোমিটার। দ্রুতই সেই পাল্লাও বাড়ানো হবে বলে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর। ফলে চিনা সেনাঘাঁটি ভারতীয় মিসাইলের আওতায় চলে আসবে।

[প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুখোইয়ে সওয়ার হলেও ঢাকা পড়ছে না বায়ুসেনার করুণ অবস্থা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement