Advertisement
Advertisement

সুপার হারকিউলিস বিমানে এল পাম্প-ডুবুরি, গতি মেঘালয়ের উদ্ধারকাজে

উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে নৌসেনার ডুবুরিদেরও।

IAF in Meghalaya mine rescue
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 29, 2018 9:42 am
  • Updated:December 29, 2018 9:42 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মধ্যবর্তী সংকীর্ণ এবং জলমগ্ন খনিতে আটকে পড়া ১৫ শ্রমিককে উদ্ধারে এবার কাজে লাগানো হল বায়ুসেনার লকহিড মার্টিন সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমান। শুক্রবার সকালেই সাতটি বৃহদাকার এবং উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প নিয়ে বায়ুসেনার ওই বিমান অবতরণ করে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে। তার পর সেখান থেকে সাতটি বড় ট্রাক সেই পাম্প নিয়ে রওনা হয় ২২০ কিমি দূরের গন্তব্যস্থলের দিকে। একই সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে নৌ-সেনাও। আটকদের উদ্ধার করতে বিশাখাপত্তনম থেকে বিমানে করে ঘটনাস্থলে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নৌসেনার ডুবুরিদের।

এর আগে ধসের ফলে খনিগর্ভে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে স্বল্প ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প কাজে লাগানো হয়েছিল। তবে তা জল বের করে আনতে সক্ষম হয়নি। তার পরই এনডিআরএফ বাহিনীর আধিকারিকের দাবি মতো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। ভুবনেশ্বর থেকে এই পাম্পগুলি আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের ওই এলাকায় খনিগর্ভে জল ঢুকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে গত ১৩ ডিসেম্বর। আটকে পড়েন বেশ কিছু শ্রমিক। কিন্তু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে দ্রুত সক্রিয় হননি মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রতার জন্যই উদ্ধারকাজে এতটা দেরি ঘটে গিয়েছে। এনডিআরএফ আধিকারিকদের দাবি, খনির ভিতর থেকে পচা গন্ধ আসছে। কিন্তু তা জমা জলের না মৃতদেহের, তা এখনই বলতে পারছেন না তাঁরা।

Advertisement

মেঘালয়ের কয়লাখনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে কেন্দ্রের ‘উদাসীনতা’র অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে রাহুল টুইটারে লিখেছেন, “দু’সপ্তাহ ধরে জলমগ্ন খনিতে আটকে ১৫ জন শ্রমিক। তাঁরা হাওয়া-বাতাস পাচ্ছেন না। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বগিবিল ব্রিজ নিয়েই ব্যস্ত। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে শুধু পোজ দিয়ে চলেছেন। এখনও পর্যন্ত শক্তিশালী পাম্প জোগাড় করে উঠতে পারল না তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি, দয়া করে ওই শ্রমিকদের বাঁচান।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিজে ঘটনাস্থল একবারও পরিদর্শনে যাননি রাহুল৷ মোদির বগিবিল উদ্বোধনে যেন তাঁর হুঁশ ফিরল৷ একইভাবে অসমে গেলেও মেঘালয়ে গিয়ে উদ্ধারকাজ পরিদর্শনের সময় হল না প্রধানমন্ত্রীর৷ সূত্রের খবর, যে খনিটিতে শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন সেটি এক কংগ্রেস বিধায়কের এলাকায়৷ এছাড়াও ওই খনি মালিকের সঙ্গে দহরম মহরম রয়েছে দুই দলেরই৷ সব মিলিয়ে শ্রমিকদের প্রাণের চাইতেও রাজনীতি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দুই শিবিরে৷

[গগনযানে মহাকাশে পাড়ি জমাচ্ছেন তিন ভারতীয়, মোটা অঙ্কের বরাদ্দ কেন্দ্রের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement