সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির গোপন নথি থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। সম্প্রতি এই গোপন ফাইলগুলো প্রকাশ্যে আনে সিআইএ। এমনই এক দস্তাবেজ থেকে জানা গিয়েছে যে, ১৯৮৪ সালে ভারত চাইলেই পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারত।
পাকিস্তানের পক্ষে সেই সময় ভারতের আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব ছিল না। ১৯৮৪-র অক্টোবরে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করা হয়। ঠিক তারপরই, নভেম্বর মাসে সিআইএ একটি রিপোর্টে আশংকা প্রকাশ করে যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনা এই হামলায় রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা MIG 23s ও Jaguar যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারে বলেও জানিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সিআইএ রিপোর্টে মার্কিন F-16 জঙ্গি বিমান MIG 29 সাথে সম্মুখ যুদ্ধে টিকতে পারবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল।
সিআইএ নথিতে আরও বলা হয়েছে, যে পাকিস্তানের কাহুটা পরমাণু কেন্দ্র ও PINSTECH গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি মাত্র ৩০ মিনিটে ওই পাক পরমানু কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে বোমা ফেলতে পারত। ১৯৮৪-র নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পাক পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে ভারত হামলা চালাতে পারে বলেও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির রিপোর্টের দাবি, সেই সময় ভারতীয় বায়ুসেনাকে রুখে দেওয়ার হিম্মত ছিল না পাক বায়ুসেনার। তাই নয়াদিল্লি হামলা চালালেও পাকিস্তানের পক্ষে সেই সময় পাল্টা জবাব দেওয়া সম্ভবই ছিল না।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালে সিনো-ইন্দো যুদ্ধের পর ফের নেপাল-ভুটান ও মায়ানমার দিয়ে ভারতে হামলা চালানোর ছক কষেছিল বেজিং। সম্প্রতি সিআইএ নথি থেকে এমনটাও জানা গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দীর্ঘ এক মাসের সিনো-ইন্দো যুদ্ধের পরই ফের ভারতে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছিল বেজিং। ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা ডিআইএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা কমিউনিস্ট সরকার ভারতকে মোটেও বন্ধু হিসাবে দেখেনি। এমনকী, লাদাখ, নেপাল, ভুটান এবং অসম সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ভারতীয় ভূখণ্ডে হামলা চালানোরও ছক ছিল বেজিংয়ের। নথিতে এও বলা হয়েছে, চিন ভারতে হামলা চালিয়ে লেহ ও অধুনা উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠে সেনা মোতায়েন করে গোটা উত্তরাঞ্চলের দখল নিয়ে নিত। একইসঙ্গে গুয়াহাটি থেকে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ছিল চিনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.