সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ-চিন সাগর থেকে শুরু করে অরুণাচল সীমান্ত৷ ভারত ও চিনের মধ্যে বিবাদ চলেই আসছে৷ দুপক্ষই এশিয়া মহাদেশে আধিপত্যে বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ তবে ভারতের সহনশীল ও শান্তি রক্ষার চেষ্টাকে বরাবর দুর্বলতার লক্ষণ বলে মনে করে এসেছে চিন৷ তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় এসেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে লাল চিনের উসকানি আর বরদাস্ত করা হবে না৷ তাই ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণে কসুর রাখছে না কেন্দ্র৷
এমনই পরিস্থিতিতে, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানওয়া দেশকে কে আশ্বস্ত করেছেন যে চিনা হামলার যোগ্য জবাব দিতে সক্ষম ভারতীয় বায়ুসেনা বা আইএএফ৷ তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিকাঠামো উন্নত করছে আইএএফ৷ পূর্ব-লাদাখে একটি নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে৷
সম্প্রতি, দু’টি ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট তৈরি করেছে চিন৷ এ বিষয়ে বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন যে, ভারতের কাছে রয়েছে রাফালের মত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান৷ আর চিনা ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেটগুলি এখনো পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে৷ তিনি আরও জানান, যে বায়ুসেনার হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, যা চিনা জঙ্গিবিমান খুঁজতে ও ধ্বংস করতে সক্ষম৷ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে জোর দিয়ে বায়ুসেনা প্রধান বলেন যে, ভারতের মাটিতে বিমান বানানো ছাড়াও, প্রযুক্তির হস্তান্তরের উপর ও জোর দেওয়া হবে৷ এর দ্বারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাতে সক্ষম হবে ভারত৷
তবে স্থলপথেও চিনকে রুখতে তৈরি ভারত৷ সম্প্রতি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সব থেকে বড় দু’টি শহর পোর্ট ব্লেয়ার ও দিগলিপুরকে রেলের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়ার প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে৷ বিশ্বের ব্যস্ততম বানিজ্যিক পথ মালাক্কা প্রণালীর উপর নজর রেখে ভারত মহাসাগরে আদিপত্য বজায় রাখার চেষ্টায় এই পদক্ষেপ ভারতের৷ সম্প্রতি, ভারত অত্যাধুনিক কামান কেনার জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ সূত্রের খবর, এই কামানগুলি বিশেষভাবে চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে৷ এছাড়াও ৯০,০০০ সৈনিকদের নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে মাউন্টেন কর্পস৷ পাহাড়ি এলাকায় যুদ্ধে পারদর্শী এই সৈন্যদলটি লালফৌজের উসকানির জবাব দেবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.