ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেএনইউতে (JNU) হিংসার যাবতীয় দায় এখন এসে পড়েছে ঐশী ঘোষের উপর। দিল্লি পুলিশের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে হিংসা ছড়িয়েছে তার জন্য মূলত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিই দায়ী। যাঁর নেতৃত্বে ছিলেন ঐশী ঘোষ (Aishe Ghosh)। কিন্তু জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী বলছেন উলটো কথা। তাঁর দাবি, “আমরা কোনও অন্যায় করিনি। মুখোশ পরে হামলা করতে যায়নি। আমার উপর আক্রমণ হয়েছে. আমার কাছে তাঁর প্রমাণ আছে।”
উল্লেখ্য, মূল ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার দিল্লি পুলিশ সংবাদমাধ্যমে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে ৩ এবং ৪ জানুয়ারি জেএনইউতে যাবতীয় যা হিংসা হয়েছে, তার জন্য চার বামপন্থী সংগঠনই দায়ী। এবং এই হিংসার নেতৃত্বে ছিলেন খোদ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। পুলিশের তরফে, একটি সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ও কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিগুলির একটিতে ঐশীকে দেখাও গিয়েছে। ঐশী ওই ছবিতে নিজের উপস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েও বলছেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। বরং আক্রান্ত হয়েছেন। এবং আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ তাঁর কাছে আছে।
JNUSU president elect Aishe Ghosh: We have not done anything wrong. We are not scared of Delhi Police. We will stand by the law and take our movement ahead peacefully and democratically. pic.twitter.com/N6MCMIYwnI
— ANI (@ANI) January 10, 2020
দিল্লি পুলিশ যখন বিবৃতি দিচ্ছে তখন ঐশীরা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন, “দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। দিল্লি পুলিশ দিল্লি পুলিশের মতো তদন্ত করুক। তবে, আমরা কোনও অন্যায় করিনি। আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। ওঁরা কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। ওই কটা ছবিতে কোনওকিছুই প্রমাণ হয় না। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করেনি। আমি মুখোশ করে ক্যাম্পাসে ঢুকিনি। বরং আমার উপরই হামলা হয়েছে। আমার রক্তমাখা জামাকাপড়ই প্রমাণ। দিল্লি পুলিশকে আমি ভয় করিনা। আইন আইনের পথে চলবে। আন্দোলনও জারি থাকবে।” দিল্লি পুলিশের এই বিবৃতির পর রাজনৈতিক মহিল রীতিমতো ক্ষুব্ধ। কংগ্রেসের অভিযোগ, একেবারে একপেশে তদন্ত করছে পুলিশ। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশের তদন্ত পক্ষপাতমূলক।
এদিকে, জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ এখনও উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে অনড়। শুক্রবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবকে সেকথা জানিয়েও এসেছেন তাঁরা। মন্ত্রক কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার উপর ভিত্তি করে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.