সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, আমি গর্বিত, পূত্রবধূ এবং নাতি-নাতনিকে আমি আগলে রাখব”, মন্তব্য লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ জওয়ানের মায়ের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বিচলিত তো বটেই, কিন্তু মন শক্ত রেখেছেন ভারতমাতার জন্য ছেলের আত্মত্যাগের কথা ভেবে।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে যে ২০জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তেলেঙ্গানার কর্নেল সন্তোষ বাবুও। ছেলে সন্তোষের মৃত্যুসংবাদ পেয়েই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে রত্নগর্ভা মায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া দেখে আবেগে ভেসেছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার নেটদুনিয়ায় কুর্নিশ জানিয়েছেন শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবুর মাকে। তাঁর কথায়, “আর পাঁচজন মায়ের মতো ছেলের মৃত্যুসংবাদে আমিও কষ্ট পেয়েছি, কিন্তু, আমার ছেলে দেশের জন্য লড়াই করে আজ শহিদ হয়েছে। ওর এই আত্মবলিদানে মা হিসেবে আমি গর্বিত।”
সোমবার গভীর রাতেই কর্নেল সন্তোষ বাবুর স্ত্রী’র কাছে স্বামীর মৃত্যুর খবর পৌঁছয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুত্রবধূই তাঁকে এই দুঃসংবাদ দেন। জানা গিয়েছে, লাদাখ থেকেই গত রবিবার সন্তোষ বাড়িতে ফোন করেছিলেন। কথা হয়েছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। আর তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কর্নেলের মৃত্যুসংবাদ পৌঁছল তাঁদের কাছে।
সন্তোষের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছেপূরণ করতেই ছেলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। সন্তানহারা পিতার মন্তব্য, “সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করতে পারিনি। তাই চেয়েছিলাম, ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকরি করে দেশের সেবায় নিয়োজিত হোক। আমার স্বপ্নপূরণ করছে ও। আত্মীয়-পরিজন অনেক বাঁধা দিয়েছিল। কিন্তু সন্তোষ কখনোই সেদিকে কর্ণপাত করেনি।”
সন্তোষের মা বললেন, “রবিবার ওর কাছে লাদাখে গন্ডগোলের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম। ও বলল, এসব ফোনে আলোচনা করা যায় না। আমি শুধু বলেছিলাম, সাবধানে থাকিস।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.