Advertisement
Advertisement

Breaking News

কল্কি অবতার তাই অফিস যেতে পারবেন না, আজব দাবি গুজরাটের আমলার

তাঁর হাতে নাকি এখন অনেক কাজ, সময় নষ্ট করতে পারবেন না।

I am incarnation of Vishnu, can’t waste time in office’, says Gujarat babu
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 19, 2018 1:46 pm
  • Updated:May 19, 2018 1:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নাকি কলিযুগের কল্কি অবতার। তাই গতানুগতিকভাবে অফিসে গিয়ে ন’টা পাঁচটা ডিউটি তিনি করতে পারবেন না। তাঁর সাজে না। সম্প্রতি এমন দাবি করেছেন গুজরাটের এক সরকারি আধিকারিক। শুধু এখানেই থামেননি তিনি। এও বলেছেন, তাঁর হাতে অনেক কাজ। বিশ্বের মানুষের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় ঘটাতে হবে। চৈতন্য জাগাতে হবে।

[ নির্দিষ্ট সময়ের তিনদিন আগেই রাজ্যে ঢুকছে বর্ষা! কী বলছে মৌসম ভবন? ]

Advertisement

এই ব্যক্তির নাম রমেশচন্দ্র ফেফার। বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। সর্দার সরোবর পুনর্বাসন সংস্থার সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার তিনি। কিছুদিন আগে তাঁকে একটি নোটিস ধরানো হয়। অফিসে না আসার জন্য তাঁকে নোটিস ধরায় কোম্পানি। নোটিসে বলা হয়, ভাদোদরার অফিসে গত আট মাস হল যোগ দিয়েছেন রমেশচন্দ্র। এই আট মাসে মাত্র ১৬ দিন তিনি কাজে গিয়েছেন। একজন গেজেটেড অফিসারের এমন অনুপস্থিতি মানায় না। তাঁর অনুপস্থিতির কারণে কাজের ক্ষতি হচ্ছে।

সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতেই এমন হতবাক করা জবাব পাঠান রমেশচন্দ্র। নিজের স্বপক্ষে তিনি অবিশ্বাস্য কিছু কথা বলেন। জানান, ২০১০ সালে মার্চ মাসে যখন তিনি অফিসে ছিলেন, তখনই অনুভব করেন শ্রীকৃষ্ণের কল্কি অবতার তিনিই। সেই দিন থেকেই তিনি নিজের মধ্যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা টের পান। বাড়িতে বসে তিনি সেই ক্ষমতার আরও বাড়াচ্ছেন। তাঁকে বিশ্বে পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বিশ্বের মানুষের চিন্তাধারা পালটাতে হবে। এমন কাজ অফিসে বসে সম্ভব নয়।

[ প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের বিয়ের জন্য বিশেষ উপহার কিনলেন মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালারা ]

স্বভাবতই রমেশচন্দ্রর এই বক্তব্যে সাড়া পড়ে যায় তাঁর অফিসে। আড়ালে শুরু হয় হাসাহাসি। কিন্তু এতে রমেশচন্দ্রের লজ্জা ছিল না। উলটে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। বলেন, “আমি যে বিষ্ণুর দশম অবতার, তা যদি তোমরা বিশ্বাস না কর, তাহলে আমি ভবিষ্যতে তা প্রমাণ করে দেব।”

রমেশচন্দ্রের মতে, তিনি যে কল্কি অবতার, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই যে দেশে ঠিক সময়ে বর্ষা আসছে, ঠিকমতো বৃষ্টি হচ্ছে, তার কারণ কিন্তু তিনি নিজে। এরকম কত কাজ তাঁর বাকি রয়েছে। খামোখা অফিসে বসে সময় নষ্ট করা তাঁর মতো মানুষের কি সাজে? তার থেকে দেশকে খরার হাত থেকে বাঁচাতে বাড়িতে তিনি যদি ধ্যান করেন, সেটা ভাল নয় কি?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement