ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ আর এক মোটর মেকানিকের বয়ানের সূত্র ধরেই কেল্লা ফতে। এই দুই জোরালো প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ ছিল, মেয়ের নিখোঁজ থাকার কথা পুলিশকে জানালেও তাঁরা ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছিল। কিন্তু হায়দরাবাদ পুলিশের দাবি, সেই সময় তাঁরা তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করছিলেন। দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই অভিযুক্তদের খোঁজে কোমর বেঁধে নামে পুলিশবাহিনী। মৃত পশু চিকিৎসকের বোন জানিয়েছিলেন, ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে দিদি বলেছিল, কয়েকজন অপরিচিত যুবক তার স্কুটির চাকায় হাওয়া ভরতে নিয়ে যাচ্ছে। সেই কথার উপর ভিত্তি করে স্থানীয় মোটর মেকানিকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
জেরায় এক মেকানিক জানায়, ওই দিন রাতে এক মদ্যপ যুবক লাল রঙের স্কুটি সারাতে তাঁর কাছে নিয়ে এসেছিল। তবে ট্রাফিক আইন না মেনেই গাড়িটি ভুলদিকে নিয়ে গিয়েছিল সে। মেকানিকের দেওয়া ক্লু ধরে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতে শুরু করে পুলিশ। একটি কারখানার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, স্কুটিটি যেদিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানেই অনেকক্ষণ ধরে একটি লরি দাঁড়িয়েছিল। তবে এলাকা অন্ধকার থাকায় লরিটির নম্বর প্লেট দেখা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, ঘটনার ছয়-সাত ঘণ্টা আগে ওই ট্রাকটি টোল প্লাজার কাছে রাখা ছিল। সেখান থেকে লরির নম্বরটির হদিশ মেলে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকের মালিক শ্রীনিবাস রেড্ডিকে ফোন করে পুলিশ। শ্রীনিবাস পুলিশকে জানান, সেই ট্রাকটি আপাতত মহম্মদ আরিফ চালাচ্ছে।
এদিকে দেহটি পোড়াতে কোথা থেকে পেট্রেল-ডিজেল কেনা হয়েছে, পুলিশের আরেকটি দল তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে। তখনই কঠুর এলাকার এক পেট্রল পাম্পের ফুটেজ তাঁদের হাতে আসে। যেখানে দেখা যায়, যে যুবক মেকানিকের কাছে স্কুটিটি সারাতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রল কিনে আনছে। পরে ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়, জল্লু শিবা। এরপরই ফোনের টাওয়ারের সূত্র ধরে চার কীর্তিমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.