ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে অযোধ্যার (Ayodhya) বিতর্কিত জমিতে তৈরি হতে চলেছে রাম মন্দির (Ram Temple)। সেই রাম মন্দিরের জন্য এবার ১০৮ ফুট উঁচু হনুমানের মূর্তি তৈরি করতে চান হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক বাসিন্দা। ইতিমধ্যে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Sri Ram Janmabhoomi Teerth Kshetra Trust) কাছে অনুমতিও চেয়েছেন ওই ব্যক্তি। মূর্তিটি তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, শ্রীনিবাস নামে ওই ব্যক্তি কালো গ্রানাইট পাথরের সাহায্যে হনুমানের মূর্তিটি তৈরি করবেন। এই পাথরগুলো আনা হবে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মহাবলীপুরম (Mahabalipuram) থেকে। শ্রীনিবাসের মূর্তি তৈরির অনুমতি চাওয়ার পরই তাঁকে মূর্তিটির থ্রি-ডি নকশা জমা দিতে বলেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “রাম জন্মভূমিতে ১০৮ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তি তৈরি করতে আমার ট্রাস্ট ৫০ কোটি টাকার প্রজেক্ট তৈরি করেছে।”
তবে এখানেই শেষ নয়, প্রত্যেকদিন মন্দির চত্বরে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণও করতে চান শ্রীনিবাস। সেজন্যও ট্রাস্টের কাছে রান্নার জন্য জায়গা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমি প্রসাদ রান্না করতে চাই, সেজন্য ট্রাস্টের কাছে জায়গা চেয়েছি। রামলালাকে প্রত্যেকদিন যে প্রসাদ দেওয়া হয়, এখানেও ভক্তদের সেই একই প্রসাদ দেওয়া হবে। রাম জন্মভূমি ক্যাম্পাস ছাড়ার সময়ই ভক্তদের সেই প্রসাদ দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দিরই হবে। সেই ঐতিহাসিক রায় মেনে এবছর ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজো হয়। উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, সারা দেশজুড়েই এই পুজোকে ঘিরে আলোচনার পারদ চড়ে। মন্দিরের শিলান্যাস করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘সরযূ নদীর তীরে স্বর্ণযুগের সূচনা হল। অবসান হল দীর্ঘ সময়ের প্রতীক্ষার।’’ এরপর চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশজুড়ে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের কর্মসূচী নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রথম দিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind) রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে তুলে দেন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.