সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : পুলিশি জেরায় মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিল এক ওলা চালক।একই সঙ্গে জানাল মাস চারেক আগে বছর দশের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছিল সে। ধৃত ওলা চালকের নাম কান্দুকুরি নাগা মধুকিরণ।রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই অভিযুক্ত চালককে চিহ্নিত করে স্থানীয় কুশাগুডা থানার পুলিশ। তারপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।জেরায় মহিলাযাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নেয় ধৃত।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওলা চালকের নিজের গাড়ি নেই। বন্ধু মহেশের গাড়িই চালাত। মহেশ দুটি গাড়ি কিনে ওলা ক্যাব সার্ভিসে ভাড়া খাটাতো। চালক ধৃত কিরণ প্রত্যেক ট্রিপ পিছু সে ৫০ টাকা করে পেত। ঘটনার দিন গত ৫ জানুয়ারি রাত ১১টার কাছাকাছি সময়ে চকরিপুরম এলাকায় এক যাত্রীকে ওলা থেকে নামায় সে। তারপর রাধিকা ক্রস রোডস এলাকা থেকে পরবর্তী যাত্রীকে তোলার কথা ছিল তার। সেদিকে যেতে যেতেই জানতে পারে ট্রিপটি বাতিল হয়েছে। সেই সময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশ কয়েকটি বাজারের ব্যাগ-সহ এক মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কিরণ। মালকানগিরির বাড়িতে ফেরার জন্য ট্যাক্সির অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। কিরণ নিজেই ওই মহিলাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে এগিয়ে আসে। রাধিকা ক্রসরোডস থেকে মালকানগিরি খুব বেশি দূরে নয় কিরণ যখন রাস্তা বদল করে তখনই কারণ জানতে চেয়েছিলেন মহিলাযাত্রী।উত্তরে কিরণ জানায় আরও একটি ট্রিপ পেয়েছে তাই সেই জায়গায় যাচ্ছে। পাশাপাশি মহিলাকে পাশে বসারও অনুরোধ করে। কোনওরকম সন্দেহ না করেই কিরণের পাশের আসনে বসে পড়েন ওই যাত্রী। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায। অভিযোগ, এরপরই মহিলার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে কিরণ। আত্মরক্ষার্থে ওই যাত্রী অ্যালার্ম বাজাতে যেতেই তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ওলা চালক।
জেরায় ধৃত এও স্বীকার করেছে যে এই কৃতকর্ম প্রথম নয়। গত অক্টোবরেও একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে সে।নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর স্থানীয় ইয়াপরাল এলাকায় নির্যাতিতা নাবালিকাকে ছেড়ে দিয়ে আসে। ইতিমধ্যেই নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে তদন্ত সহায়ক হতে পারে এমন কোনও সূত্র এখনও হাতে আসেনি। তদন্তে জানা গেছে, অসচ্চরিত্র হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ধৃতের। বিভিন্ন যৌনকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকারও প্রমাণ মিলেছে। যৌনকর্মীদের কাছে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গিয়েও সে মতা পালটায়। তারপর সহজ পথ ভেবে পথচারী মহিলাদের শিকার বানায়। মূলত নাবালিকারাই তার শিকার হয়। বন্ধুত্ব করে ধীরে ধীরে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগোয় কিরণ। যদিও কিরণের এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানতেন না গাড়ির মালিক।পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করেছে মহেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.