ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। ফের ঘটনাস্থল হায়দরাবাদ। ফের ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হল নির্যাতিতাকে। বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ বছরের অভিযুক্ত নিজামাবাদের বাসিন্দা। এর আগেই দুটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সে। এবার হাজতের এক বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হল তাকে।
গত ৩০ নভেম্বর জেলের সেই বন্ধুকে ফোন করে অভিযুক্ত। কিন্তু ফোনটি রিসিভ করেন বন্ধুর স্ত্রী। তিনদিন পর স্বামীর মামলার শুনানির জন্য আদালত চত্বরে এসেছিলেন ওই তরুণী। সেখানেই স্বামীর বন্ধুর (অভিযুক্ত) সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তারপর থেকেই কথাবার্তা বাড়ে। তরুণীকে নানা ধরনের উপহারও দিতে শুরু করে অভিযুক্ত। গত ১৩ ডিসেম্বর তরুণীকে সে বলে, সে দু’কোটি টাকা উপার্জন করেছে। মেদাকে সেই অর্থ লুকিয়ে রাখা আছে। জানায়, সমস্ত অর্থ সে তরুণীকে দিতে চায়। তার কথায় বিশ্বাস করে মেদাক যান তরুণী। মোটরবাইকে চাপিয়েই তরুণী বিউটিশিয়ানকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত।
মেদাকে পৌঁছে একটি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে বাইক দাঁড় করায় অভিযুক্ত। এরপর মাটি কেটে গর্ত করতে শুরু করে সে। বোঝাতে চায়, মাটির নিচেই রাখা আছে সেই অর্থ। কিন্তু খানিকটা সময় পেরোতেই তরুণী বুঝতে পারেন তিনি ফাঁদে পড়েছেন। অভিযোগ, সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্ত তরুণীকে ধর্ষণ করে। তারপর তাঁকে গলা টিপে খুন করে জলাশয়ে ফেলে দেয়। প্রমাণ লোপাট করতে নিজের সিম কার্ড ভেঙে ফেলে অভিযুক্ত। তরুণীর আধার কার্ড ও অন্যান্য নথিতেও আগুন ধরিয়ে দেয় সে। এরপর তরুণীর বাইকেই নিজামাবাদ ফেরে অভিযুক্ত। সেখানে পৌঁছে গাড়ির নম্বর প্লেটও বদলে ফেলে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে মৃতার স্বামীকে জেরা করে। তার থেকেই অভিযুক্তর কথা জানতে পারে। তারপর তার কল রেকর্ডের সূত্র ধরেই গোটা ঘটনা বুঝতে পারে পুলিশ। ঘটনার দিন ছয়েক পর বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.