সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১১ জনের৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ জখম অন্তত ১৫ জনকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে৷ তাঁদের অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷ শরীরের অধিকাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছে প্রত্যেকের৷ হায়দরাবাদের ওয়ারাংগলের এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
#SpotVisuals: 10 people dead in fire at a firecracker godown near Koti Lingala Temple, 4 fire tenders present at the spot: Collector, Warangal District pic.twitter.com/Oj5rYsJtoO
— ANI (@ANI) July 4, 2018
বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আচমকাই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় কারখানা৷ পুলিশের দাবি, সেই সময় কারখানায় কাজ করছিলেন কুড়িজনেরও বেশি শ্রমিক৷ কারখানার ভেতর চলছিল বাজি তৈরির কাজ৷ আচমকাই বাজি তৈরির উপকরণে বিস্ফোরণ হয়৷ জ্বলতে শুরু করে আগুন৷ মুহূর্তের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়৷ ধোঁয়া ছড়িয়ে পরে চারপাশেও৷
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা৷ তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন৷ শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ৷ আগুন সামান্য নিয়ন্ত্রণে এলে শুরু হয় উদ্ধারকাজ৷ কিন্তু ততক্ষণে কারখানার ভেতরেই পুড়ে মারা যান পাঁচজন৷ বাকিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হাসপাতালে মারা যান আরও ছ’জন৷ কমপক্ষে পনেরোজনের এখনও চিকিৎসা চলছে৷ শরীরের অধিকাংশই আগুনে ঝলসে গিয়েছে তাঁদের৷
বাজি কারখানার মালিক গোলাপাল্লি রাজকুমারকে আটক করেছে পুলিশ৷ তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে এদিন সকালেই কারখানা থেকে বেরিয়ে যান তিনি৷ তবে সেই সময় সাত-আটজন শ্রমিকই কারখানায় কাজ করছিলেন৷ প্রত্যেকেই দু’শো টাকা রোজে কাজ করেন তাঁরা৷’’ অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা নেই বলেই দাবি করেন বাজি কারখানার মালিক৷
অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে গোটা কারখানা৷ কীভাবে কারখানায় আগুন লাগল, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য দিতে পারেননি দমকল আধিকারিকরা৷ কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা যথোপযুক্ত ছিল কী না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.