ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত মুর্হুত আজ আর ‘ব্যক্তিগত’ নয়। দাম্পত্যের অন্তরঙ্গ ছবিও ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও চ্যাটে বসে সেই ছবি দেখছেন তৃতীয় কোনও ব্যক্তি। আপনি কিছুটি টের পাচ্ছেন না। ভাবছেন, এও কি সম্ভব? এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুর্হুতের ভিডিও এক বন্ধুর পাঠানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[এবার নজরদারি সোশ্যাল মিডিয়ায়, আসছে নতুন আইন]
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আকুলা চৈতন্য পেশায় একজন মার্কেটিং এগজিকিউটিভ। তেলেঙ্গানার মেডক জেলায় থাকেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই পর্ন ভিডিও দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন আকুলা। পর্ন সাইটে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে চ্যাটও করতেন। সেকেন্দরাবাদ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দিন কুড়ি আগে একটি পর্ন সাইটে চ্যাট করার সময়ে শ্রীমান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় আকুলা চৈতন্যের। নিজেদের স্কাইপ অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদান করেন তাঁরা। গত ১১ জুন নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে স্কাইপে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন আকুলা। সেই আকাউন্টের মাধ্যমেই শ্রীমানের সঙ্গে নিয়মিত চ্যাট করতেন তিনি। কিছুদিন পরেই নিজের স্ত্রীর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি শ্রীমানকে পাঠাতে শুরু করেন আকুলা। বাদ যায়নি স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুর্হুতের ছবিও। এমনকী, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীর যখন মিলিত হতেন আকুলা, তখন সেই ভিডিও স্কাইপে লাইভ স্ট্রিমিং করা হতো। আর পুরো ঘটনাটাই ঘটত আকুলার স্ত্রীর অজান্তে।
[মসজিদের বাইরে ছবি তোলার অভিযোগ, গণপিটুনিতে মৃত শ্রীনগরের ডিএসপি]
তবে আকুলার স্ত্রী যে কিছুই টের পাননি, এমনটা নয়। গত কয়েকদিন ধরেই ওই মহিলার মনে স্বামীর কাজকর্ম নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছিল। দিন চারেক আগে জোর করে আকুলার কাছ তাঁর মোবাইলটি ছিনিয়ে নেন তাঁর স্ত্রী। ফোন চেক করতে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। এরপরই আকুলার চৈতন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে আকুলা চৈতন্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যে ব্যাক্তির সঙ্গে তিনি চ্যাট করতেন, সেই শ্রীমানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মাত্র পনেরো মাস আগেই আকুলা চৈতন্যের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে স্ত্রীকে হেনস্থা করতেন তিনি।
[স্কুলের বই-ইউনিফর্ম কেনার টাকা নেই, আত্মঘাতী ঋণগ্রস্ত কৃষকের ছেলে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.