সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ (Hyderabad) গণধর্ষণ (Gang rape) কাণ্ডে নিগৃহীতা ও অভিযুক্ত নাবালকের পরিচয় প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তেলেঙ্গানার কংগ্রেস প্রধান ওসাংসদ মানিকম ঠাকুর এই অভিযোগ এনেছেন বিজেপি বিধায়ক রঘুনন্দন রাওয়ের বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন, রঘুনন্দন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে নিগৃহীতা ও নাবালক অভিযুক্তদের দেখা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকায় গাড়ির ভিতরে গণধর্ষণের শিকার হন এক নাবালিকা। পুলিশের জালে ইতিমধ্যেই তিনজন ধরা পড়েছে। ধৃতদের অন্যতম তেলেঙ্গানার শাসকদল টিআরএসের নেতার আত্মীয়। এই মামলায় দুই অভিযুক্ত নাবালক। হায়দরাবাদের বুকে রীতিমতো জনবহুল স্থানে এহেন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নিগৃহীতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যায় না। বিজেপি বিধায়ক সেই নির্দেশ লঙ্ঘন করেছেন। মানিকমের অভিযোগ, স্রেফ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এমনটা করছে গেরুয়া শিবির। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ”এভাবে তেলেঙ্গানার একটি মেয়েকে সঙ্ঘী কিংবা টিআরএসকে অপমান করতে দেব না আমরা।”
এদিকে রঘুনন্দনের দাবি, পুলিশ নাবালকদের ‘ক্লিন চিট’ দেওয়ার পরই বাধ্যত ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন তিনি। ওই ভিডিওই যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের অভিযোগ প্রমাণের একমাত্র নথি, সেকথাও বলেন তিনি। বিজেপির দাবি, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে টিআরএস ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম। বিষয়টিতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হায়দরাবাদের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভ দেখানো। যদিও টিআরএসের কার্যকরী সভাপতি ও মন্ত্রী কোটি রামা রাও পুলিশ, পুলিশ কমিশনার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে অনুরোধ করেছে দ্রুত বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করতে।
গত ২৮ মে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় মোট পাঁচজন অভিযুক্ত। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনাক্ত করা গিয়েছে পাঁচজনকে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, একটি মার্সিডিজ গাড়ির ভিতরে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, অন্য একটি এসইউভির ভিতরে নিগৃহীতা ধর্ষণের শিকার হন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.