সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন মেঘ না চাইতেই জল! দু’পাত্তর মদের জন্য যখন হাকাকার করছেন অনেকে, ঠিক তখনই তাঁদের জীবনে ‘মাসিহা’ হয়ে আবির্ভূত হলেন এক যুবক। না চাইতেই মদ পেলেন স্থানীয়রা! হ্যাঁ, লকডাউনের আবহে এই দৃশ্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায়।
লকডাউনের জেরে স্তব্ধ গোটা দেশ। অত্যাবশকীয় পণ্য ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ এমন পরিস্থিতিতে মদ না পেয়ে নাজেহাল অবস্থা অনেকেরই। কথায় বলে মদের নেশা সর্বনাশা। আর সেই নেশা না করতে পেরে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আবার মদ না পেয়ে কেউ কেউ রং খেয়ে ফেলেছেন। যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে। মদের এমন আকালের সময় সেই সব মানুষদের কথা ভেবেই অভিনব উদ্যোগ নেন হায়দরাবাদের কুমার নামের এক ব্যক্তি। রবিবার গ্লাসে ঢেলে বিনামূল্যে মদ বিলি করলেন তিনি! তাঁর এই কীর্তির ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্লাস্টিকের গ্লাসে মদ ঢেলে দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। রাস্তার ধারে বসে থাকা সেই সব লোকগুলির কাজে তিনি যেন সাক্ষাৎ দেবতার রূপ।
Moved by how daily wage workers are ‘suffering’ without liquor, a man named Kumar distributed one peg alcohol to labourers in Champapet, #Hyderabad. He already had some stock left with him. Good deed or bad, I leave it to your descretion. 1 more video below. #lockdown #covidindia pic.twitter.com/Eyn220w5Gf
— krishnamurthy (@krishna0302) April 12, 2020
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে তাঁর সমালোচনা করে বলেছেন, এতে ওই মানুষগুলির আরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ দ্বিতীয়বার আর চাইলেও মদ পাওয়া যাবে না। তবে নেটিজেনদের একাংশ তাঁর এই প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কুমার বলেন, “আমার বাড়ি হায়দরাবাদ। গতকাল কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম এক মহিলা মদ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।” তবে শুধু ওই মহিলাই নন, আরও অনেকে মদের জন্য চাতক পাখির মতো বসেছিলেন। তাঁদের সাহায্য করতেই মদের বোতল নিয়ে আসেন কুমার। প্রত্যেককে গ্লাসে ঢেলে মদ দেন। কুমার এও স্পষ্ট করেছেন, সরকারের নিয়ম ভেঙে তিনি কোনও কাজ করতে চাননি। ওই মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতেই এমনটা করেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.