প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে ‘খুনের’ পর টুকরো টুকরো করেছিল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। শুধু তাইই নয়, দেহের খণ্ডাংশ একটি সিমেন্টের ড্রামে ভরে মুখবন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই সপ্তাহ পর সেই ঘটনা সামনে এল। পুলিশ ওই যুবতী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইন্দিরা নগরে। মৃতের নাম সৌরভ রাজপুত (২৯)। তিনি মার্চেন্ট নেভির কর্মী ছিলেন বলে খবর। শুধু তাই নয়, খুনের পর প্রেমিককে নিয়ে পাহাড়ে ঘুরতেও গিয়েছিলেন গুণধর স্ত্রী। স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পেরে গিয়েছিলেন সৌরভ? সেজন্যই কি খুন হতে হল? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌরভ রাজপুতের আসল বাড়ি ব্রহ্মপুরীর ইন্দ্রনগর ফেজ ২ এলাকায়। গৌরীপুরার বাসিন্দা মুসকান রাস্তোগির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সৌরভের পরিবারের বনিবনা হচ্ছিল না। ইতিমধ্যে ওই দম্পতির একটি কন্যা সন্তানও হয়েছিল। এদিকে পরিবারে অশান্তি আরও বেড়ে যায়। একপ্রকার বাধ্য হয়ে সৌরভ স্ত্রী ও তিন বছরের কন্যাকে নিয়ে ইন্দ্রনগর ফেজ ১-এর একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
গত ৪ মার্চ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ। পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এদিকে পুত্রবধূ মুসকানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বারবার সে বিভ্রান্ত করছিল। বিভিন্ন সময় একেক রকম কথা বলতে থাকে। এতেই পরিবারের সন্দেহ হয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মুসকান রাস্তোগিকে জেরা শুরু করে পুলিশ। সামনে আসে তিনি সাহিল নামে এক বছর ২৫-এর যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। তারপরই সাহিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধারাবাহিক জেরায় ওই দুজন চাপের মুখে ভেঙে পড়ে। স্বীকার করা হয়, চলতি মাসের ৪ তারিখে সৌরভকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে একটি সিমেন্টের ড্রামে ভরে ফেলা হয়। সন্দেহ যাতে না হয়, সেজন্য ওই ড্রামটির মুখবন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাইই নয়, রক্তও ধুইয়ে পরিষ্কার করা হয়। খুনের পর অত্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা করছিল ওই যুবতী। প্রেমিককে নিয়ে পাহাড়ে ছুটি কাটাতেও চলে যায় সে!
খুনের কথা জানার পরেই পুলিশ এরপর ওই ভাড়াবাড়িতে যায়। সেখান থেকেই ওই দেহাংশ ভর্তি ড্রাম উদ্ধার হয়। মৃতদেহের অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ধৃত দুজনের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.