Advertisement
Advertisement

Breaking News

আলোচনার প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতে হুরিয়তের ‘চাল’, পাকিস্তানকে ডাকার দাবি

এনআইএ তদন্তে কোণঠাসা হুরিয়তের নয়া চাল।

Hurriyat hawks choose Pakistan over peace in Kashmir
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 25, 2017 4:50 am
  • Updated:October 25, 2017 4:50 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিনের মধ্যেই ধাক্কা খেল নয়াদিল্লি। সোমবারই কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে নতুনভাবে উদ্যোগ  নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। শান্তির লক্ষ্যে বিশেষ দূত প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা দীনেশ্বর শর্মাকেও নিয়োগ করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি সরকার। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্স স্পষ্ট জানিয়ে দিল বৈঠকে পাকিস্তানকে ডাকতে হবে। না হলে বৈঠক সম্ভব নয়।

[তাজমহলে শিব চালিশা পড়লে দোষ কোথায়, বিজেপি নেতার মন্তব্যে নয়া বিতর্ক]

Advertisement

হুরিয়ত নেতা মৌলবি আব্বাস আনসারি বলেন, “যতক্ষণ না পাকিস্তানকেও আলোচনায় ডাকছে ভারত, ততক্ষণ নয়াদিল্লির প্রতিনিধির সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার কোনও অর্থ হয় না।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, তিনপক্ষ (ভারত, পাকিস্তান, হুরিয়ত) একসঙ্গে না বসলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান কোনওভাবে সম্ভব নয়। এদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা দীনেশ্বর শর্মাকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘লোক দেখানো’ বলে কটাক্ষ করেছে। তবে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। তাদের মতে, আলোচনার মাধ্যমেই রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরতে পারে।

অন্যদিকে, সীমান্তে যতই শান্তি ফেরাতে আলোচনার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হোক না কেন, পাকিস্তানের হামলা অব্যাহত। মঙ্গলবার সকাল থেকে নৌগ্রাম সেক্টরে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এমনকি কাশ্মীরে সন্ত্রাসে টাকার উৎসের তদন্তে নেমে হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাইকে আটকও করেছিল এনআইএ। পাকিস্তানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদে উসকানি দিচ্ছে হুরিয়ত কনফারেন্স। মদত দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেও। এই অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার এনআইএ-র সাঁড়াশি চাপে পড়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাই শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের হয়ে সওয়াল করে কেন্দ্রকে চাপে রাখতে চাইছে তারা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

[আগ্রাসন রুখতে নয়া পন্থা, চিনা ভাষা শিখবেন আইটিবিপির জওয়ানরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement