সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি (Syed Ali Shah Geelani)। বুধবার শ্রীনগরে নিজের বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘পাকিস্তানপন্থী’ ওই প্রাক্তন হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা।
দেশভাগের সময় ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে নব্বইয়ে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের রক্তপাত ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা-সহ বেশ কিছু অধ্যায়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি। বিশেষ করে, বারবারই পাকিস্তানের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এবং অনেক ক্ষেত্রেই যে তা মিথ্যা নয় সেই কথা সর্বজনবিদিত। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে ‘হুরিয়ত কনফারেন্স’-এর মধুচন্দ্রিমার কথাও নতুন কিছু নয়।
দীর্ঘদিন থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবন্দি ছিলেন গিলানি। ২০২০ সালে অভ্যন্তরীণ কলহের জেরে হুরিয়তের নেতৃত্বের পদ থেকে ইস্তফা দেন গিলানি। কাশ্মীরবাসীর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে হুরিয়তের কিছু নেতা আর্থিক তছরুপে মেতে রয়েছেন এবং শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন বলে সেই সময় অভিযোগ করেন তিনি। নয়ের দশক থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সকে (Hurriyat Conference) নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছেন পাকপন্থী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। পরবর্তী সময়ে হুরিয়তের কট্টরবাদী আদর্শকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে উঠে আসেন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী তরুণ নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুক। তারপরই তৈরি হয় মতবিরোধ।
এদিকে, গিলানির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “তাঁর সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আমার মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু তাঁকে আমি সম্মন করি এবং তাঁর আত্মার সদ্গতি কামনা করি।” উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালে বারামুলায় জন্ম গিলানির। পরবর্তীকালে লাহৌরের ওরিয়েন্টাল কলেজে পড়াশোনা করেন। এর পরে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। গিলানির মৃত্যুতে কাশ্মীরে হিংসার আশঙ্কায় সতর্ক সেনাবাহিনী। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও আপাতত বন্ধ করা হয়েছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.