সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গম অরণ্য, গাছের পাতার আস্তরণ ভেদ করে সূর্যের আলো মাটি স্পর্শ করে না৷ অরুণাচল প্রদেশের এই জঙ্গল আজও রহস্যে ঘেরা৷ মনে করা হচ্ছে, সিয়াং জেলার অন্তর্গত এই অরণ্যেই ভেঙে পড়েছে বায়ুসেনার এএন-৩২ বিমান৷ তবে শত চেষ্টাতেও খোঁজ মিলছে না সেটির৷ তাই এবার উপজাতি শিকারিদের উপর ভরসা রাখল অরুণাচল সরকার৷
[আরও পড়ুন: কাজ করেনি ১৪ বছর পুরনো বিপদ সংকেত যন্ত্র! নিখোঁজ বিমান ঘিরে ধোঁয়াশা]
জানা গিয়েছে, সিয়াং জেলার পাঁচজন উপজাতি শিকারিকে আন্তোনভ বিমানটি খুঁজে বের করার জন্য নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু৷ এছাড়াও সিয়াং ও ওয়েস্ট সিয়াং জেলার প্রশাসন তিনটি বিশেষ দল গঠন করেছে৷ পাহাড়ি অঞ্চলটির তিনটি রেঞ্জে তল্লাশি চালাবে ওই দলগুলি৷ প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক কারণেই ওই এলাকার নাড়ি নক্ষত্র জানে ওই শিকারিরা৷ ফলে যে দুর্গম জায়গায় সেনা ও পুলিশের উদ্ধারকারী দল এমনকি ড্রোনও পৌঁছাতে পারছে না৷ সেই জায়গাগুলিতে খোঁজ চালাবে তাঁরা৷ এদিকে লাগাতার বৃষ্টি উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সোভিয়েত জমানার বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ভেঙে পড়েছে৷ তবে চিনা সীমান্তের কাছে হওয়ায় হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা৷
উল্লেখ্য, এএন-৩২ বিমানে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যের জন্য যে বিপদ-সংকেতজ্ঞাপক যন্ত্র লাগানো ছিল তা গত ১৪ বছর ধরে ব্যবহারই হয়নি। সেখান থেকে কোনও সংকেত এখনও পাননি উদ্ধারকারীরা। তাই সেটির কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংকেত না মেলায় এখনও ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ এএন-৩২ যুদ্ধবিমানে আটজন বিমানকর্মী এবং পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। সোমবার দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিটে অসমের জোরহাট থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেছুকা বিমান অবতরণ ক্ষেত্রের উদ্দেশে উড়ে যায়। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সেটি। একটার পরে আর তার সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: নজরে চিন, উপহারের ডালি নিয়ে মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা সফরে মোদি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.