সুব্রত বিশ্বাস: রেডি টু হামসফর। অ্যাজ সুন অ্যাজ পসিবল, নির্দেশ এমনটাই। অভ্যন্তরীণ অর্থ, যে কোনও মুহূর্তে কামরায় সেনা বোঝাই করে রওনা দিতে হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন জোনকে পড়ে থাকা রেক প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিল রেল।
বিষয়টি একটু স্পষ্ট করে বলা যাক, পাঁশকুড়া সাইডিংয়ে পড়ে থাকা ‘হামসফর’ রেকটি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুত করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অপারেশনস বিভাগ। জানা গিয়েছে, রেকটি যাতে যে কোনও মুহূর্তে সেনা নিয়ে রওনা দিতে পারে, তার প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। রেলের তরফে নির্দেশ পাওয়ামাত্র রেকটির আন্ডার গিয়ার পরীক্ষা করা হয়। জল ভরা থেকে এসি ও ইলেকট্রিক সব সরঞ্জাম পরীক্ষা করা হয়েছে। এসি, সাধারণ কামরা, প্যান্ট্রি, এসএলআর-সহ ২২টি কোচকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস বিভাগের নির্দেশে বিভিন্ন জোনে বাড়তি রেকগুলিকে প্রস্তুত করে রাখতে বলেছে রেল। যাতে দিল্লি থেকে কোনও নির্দেশ আসা মাত্রই জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে। তবে পূর্ব রেলের সিপিটিএম অবশ্য জানিয়েছেন, এমন কোনও নির্দেশ থাকলেও তা জানানো সম্ভব নয়।
চূড়ান্ত গোপনীয় বিষয় বললেও ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়ি ও যুদ্ধের সরঞ্জাম পূর্বাঞ্চলের কাশীপুর ইছাপুর গান অ্যান্ড সেল ফ্যাক্টরি, বারাকপুর থেকে যায়। সেগুলি ওপেনওয়াগনে যায় যুদ্ধক্ষেত্রে। যে ওয়াগন প্রস্তুত থাকে চিৎপুর ইয়ার্ডে। সেইসঙ্গে রিফাইনারিগুলিকেও ফুল ট্যাঙ্কার জ্বালানি তৈরি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজপেয়ী সরকারের আমলে ‘অপারেশন ব্রাশট্যাক্স’-এ চিৎপুর থেকেই ওপেনওয়াগনে এইসব সরঞ্জাম গিয়েছিল। ওয়াগনের দুই ধারে রেলিং থাকায় ট্যাংকগুলি তোলা যাচ্ছিল না। ফলে ওয়াগনের রেলিংগুলি কেটে ফেলা হয়েছিল। এবারও তেমনভাবে ‘রণং দেহি’ রূপে প্রস্তুত হচ্ছে রেলের রেক থেকে ওয়াগন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.