সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবে কি ১৫ আগস্ট ‘ডেডলাইন’ ধরেই এগোচ্ছে আইসিএমআর? ‘কোভ্যাক্সিন’ ট্রায়াল নিয়ে সংস্থার তরফে গত দু’দিন যে পরিমাণ ততপরতা দেখানো হল, তাতে অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে। করোনার সম্ভাব্য এই প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ। যে জন্য মোট ১২টি ‘পরীক্ষাকেন্দ্রে’র একটি তালিকা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে ট্রায়ালের প্রথম দুই পর্বে মোট ১ হাজার ১০০ জনের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
কোনও ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল অতিক্রম করলেই ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে পারে। প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অর্থ, বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। ‘কোভ্যাক্সিন’ সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এই ট্রায়ালের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। ভাইরোলজিস্টদের মতে, বয়স, বর্ণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্বিশেষে বহু মানুষের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হয়। মোট তিন ধাপে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে প্রথম দু’ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে খুব শীঘ্রই। সেজন্য মোট ১ হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের নাম নথিভুক্ত করবে আইসিএমআর।
প্রথম পর্যায়ে COVAXIN দেওয়া হবে ৩৭৫ জনের শরীরে। যার রেজিস্ট্রেশনের শেষদিন ১৩ জুলাই। অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেই প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়ে যেতে পারে। আশানুরূপ ফল পেলে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যাবে ICMR। এই পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজন ৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর। তাঁদেরও নাম নথিভুক্ত করা শুরু হবে শীঘ্রই। ট্রায়ালের জন্য ইতিমধ্যেই ১২টি হাসপাতালকে বেছে নিয়েছে আইসিএমআর। এই তালিকায় আছে দিল্লি এবং পাটনার এইমসের নাম। আইসিএমআরের দাবি, ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনেই এগোনো হচ্ছে। যেভাবে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আনা প্রয়োজন। তবে কোনও ক্ষেত্রেই প্রাণের ঝুঁকি নেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট ১০০টি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। কিন্তু কোনওটিই করোনার টিকা হিসেবে পরীক্ষায় উতরোতে পারেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.