সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অচৈতন্য স্বামীর বুকের উপর চেপে বসে পরপর তিনবার ছুরি চালিয়েছিল স্ত্রী মুসকান। এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেওয়া হয় স্বামীর হৃৎপিণ্ড। মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার প্রকাশ্যে এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। যেখানে প্রকাশ্যে এসেছে কীভাবে ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সৌরভের স্ত্রী মুসকান ও তাঁর প্রেমিক সাহিল। এই হত্যাকাণ্ডের সময় পাশ থেকে সাহিল পরামর্শ দিচ্ছিল ঠিক কোন জায়গায় ছুরি চালাতে হবে।
অভিযোগ, ৪ মার্চ ২৯ বছরের সৌরভ রাজপুতকে খুন করেন স্ত্রী ২৭ বছরের মুসকান রাস্তোগি। তাঁর সঙ্গী ছিলেন সমবয়সি সাহিল। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্বামীকে খুনের ইন্ধন মুসকানকে দিয়েছিল প্রেমিক সাহিল। সেই মতোই গোটা পরিকল্পনা সাজায় দুইজন মিলে। ঘুমের ওষুধে অচৈতন্য সৌরভকে খুন করতে সেই রাতে তাঁর বুকের উপর চেপে বসে মুসকান। ঠিক কোন জায়গায় ছুরির কোপ মারতে হবে পাশ থেকে তা দেখিয়ে দিচ্ছিল সাহিল। তবে প্রথমটায় এই কাজ করতে পারেনি মুসকান। স্বামীর বুকে ছুরি চালাতে ইতস্তত করছিল সে। তখন সাহিল তাঁর হাত চেপে ধরে পর পর তিনবার সৌরভের বুকে ছুরির কোপ বসায়। ফলে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় সৌরভের হৃৎপিণ্ড।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সৌরভের বুকে তিনবার ছুরির কোপ মারা হয়েছে। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর ছুরি দিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয় তাঁর ঘাড়। এভাবে টুকরো করা হয় সৌরভের শরীর। সেই রাতেই সৌরভের মাথা ও হাতের অংশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সাহিলের বাড়িতে। বাকি অংশ মুসকান নিজের বিছানার বাক্সে রেখে ঘুমোতে যায়। পরদিন তা ড্রামে পুরে সিমেন্ট ঢেলে দেওয়া হয়। যেহেতু হত্যার প্রায় ১৫ দিন পর দেহের ময়না তদন্ত হয়েছে তাই দেশের বেশিরভাগ অংশে পচন ধরেছিল। হত্যাকাণ্ডে ভয়াবহ নৃশংসতায় স্তম্ভিত তদন্তকারীরা।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, সৌরভকে খুন করার পর প্রেমিক সাহিলকে সঙ্গে নিয়ে হিমাচল রওনা হন মুসকান। সেখানে রীতিমতো হানিমুন করেন দুজন। দোলের দিন রং খেলা, তুষারপাত উপভোগ করেন দুই অভিযুক্ত। এমন হত্যাকাণ্ড চালানোর পর নির্বিকারভাবে তাঁদের উৎসবে মেতে ওঠার ঘটনাও অবাক করে দিচ্ছে মনোবিদদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.