ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইরে থেকে খাবার আনলেই ঝামেলা করতেন বৃদ্ধা। একদিন রাগের মাথায় দিদিমাকে খুনই করে বসেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র নাতি! অভিযোগ, ন’মাস বাড়ির আলমারিতে দেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল। এরপর পলাতক হয় অভিযুক্ত মা এবং ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের। বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সঞ্জয় বাসুদেব রাও হত্যা করেন ৭০ বছরের নিজেরই দিদিমা শান্তাকে। খুনের পর প্রমাণ লোপাটে তাঁকে সাহায্য করেন মা শশীকলা। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে একদিন দোকান থেকে ফুলকপির মাঞ্চুরিয়ান কিনে এনেছিলেন সঞ্জয়। সেই নিয়ে বচসা শুরু হলে শান্তাকে আক্রমণ করেন নাতি। তাতেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। এরপর ওয়ার্ডরোবের দেওয়াল ভেঙে সেখানে শান্তার দেহ ঢুকিয়ে দেন সঞ্জয়। সিমেন্ট দিয়ে গেঁথে দেওয়া হয় ওই দেওয়াল। প্রতিবেশীরা প্রশ্ন করলে শশীকলা বলতেন, শান্তা নিজের ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছেন।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর ভাড়ার বাড়ি ছেড়ে পালান সঞ্জয় এবং তাঁর মা। এরপর বাড়ির মালিক নবীন ওই ঘরে ঢুকলেই দুর্গন্ধ পেতেন। ২০১৭ সালের ৭ মে পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে দেওয়াল ভেঙে শান্তার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। যদিও খোঁজ মিলছিল না সঞ্জয় এবং শশীকলার। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালের মে মাসে মহারাষ্ট্রের কোলাপুর থেকে সঞ্জয় এবং শশীকলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে একটি দোকানে কাজ করছিলেন সঞ্জয়। শশীকলা পরিচারিকার কাজ করতেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ হয়েছে। বর্তমানে দিদিমাকে খুনের দায়ে জেলবন্দি নাতি। এবং তাঁর মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.