প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক গৃহবধূকে তাঁর আড়াই বছরের ছেলের সামনে টানা ৭৯ দিন ধরে ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে খবর গেলে তারাই উদ্ধার করে ওই যুবতীকে। তবে গ্রেপ্তার করা যায়নি অভিযুক্তকে। সুযোগ পেয়ে সে পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে অভিযুক্তকে ধরতে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশায় (Odisha)।
ঠিক কী হয়েছিল? নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০১৭ সালে। বিয়ের পর থেকেই পণ চেয়ে তাঁর উপরে নির্যাতন চালাতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোক। অভিযুক্ত তান্ত্রিক ওই পরিবারকে আশ্বস্ত করে জানায়, যদি ওই মহিলা তাঁর সঙ্গে কয়েক মাস থাকেন, তাহলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। বউমার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির গণ্ডগোল দূর হয়ে যাবে।
নির্যাতিতা এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ওই মহিলা জ্ঞান ফিরতেই দেখেন তিনি একটি ঘরে বন্দি। সেই ঘরে রয়েছে তাঁর আড়াই বছরের শিশুপুত্রও।
অভিযোগ, এরপর ওই মহিলার উপরে লাগাতার নির্যাতন চালাতে থাকে অভিযুক্ত তান্ত্রিক। টানা ৭৯ দিন ধরে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। কিন্তু এরপর একদিন ওই তান্ত্রিক ঘরে না থাকা অবস্থায় তার মোবাইল ফোনটি পেয়ে যান নির্যাতিতা। তারপর সেই ফোনটি থেকেই তিনি তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করে খবর দেন। তাঁরাই দ্বারস্থ হন পুলিশের।
পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করলেও ধরা যায়নি তান্ত্রিককে। সে পালিয়ে যায় আগেভাগেই খবর পেয়ে। তবে পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারা-সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহিলা এফআইআরে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্বামী, দেওর ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধেও। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.