সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কমলা মিলস অগ্নিকাণ্ডে অভিযুক্তকে সাহায্য করার অভিযোগে এক হোটেল মালিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।ধৃতের নাম বিশাল কারিয়া। বানিজ্য নগরীর সিনেমাপাড়া, ২২ গজ ও রাজনৈতিক মহলে পরিচিত নাম বিশাল। অভিযোগ, কমলা মিলসের রুফটপ পাব ওয়ান অ্যাবাভ-এর মালিকানার অংশীদার অভিজিৎ মানকরকে (অগ্নিকাণ্ডে অভিযুক্ত) আত্মগোপন করতে সাহায্য করেছেন বিশাল। এমনকী, তাঁর জিম্মা থেকে অভিজিৎ মানকরের গাড়িটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হায়দরাবাদ বিমানবন্দর থেকে উধাও হয়েছে রেস্তরাঁ মোজো বিস্ত্রোর এক মালিক। অভিযুক্তের নাম যুগ তুলি।ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বছর ২৯-র তুলি স্ত্রী প্রিতিনাকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পুলিশ, এই খবর পাওয়ার পর হায়দরাবাদে পালিয়ে যায়। শহরের অভিজাত এলাকা জুবিলি হিলসে থাকেন তুলির দাদা দাদি। সেখানেই আত্মগোপনের পরিকল্পনা ছিল এই দম্পতির। তবে পরিকল্পনা সফল হয়নি। জুবিলি হিলসের বাড়িতে তার ইম্পোর্টেড জিপ পৌঁছতেই খবর চলে যায় মুম্বই পুলিশের কাছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মুম্বই পুলিশের তরফে হায়দরাবাদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে দেখা যায় সস্ত্রীক বেপাত্তা তুলি। তবে গাড়ি বাড়ির পার্কিংলটেই রয়েছে। এয়ারপোর্টে তুলিকে দেখা গিয়েছে খবর আসে। সেখানে পৌঁছেও তুলির হদিশ পায়নি পুলিশ। এয়ারপোর্টে স্ত্রীকে নিয়ে তুলি ঢুকছে, তার ফুটেজ সিসিটিভি থেকে পাওয়া গিয়েছে। তবে তিনি বিমান ধরেননি এটা নিশ্চিত। কিন্তু বিমান না ধরে কোন পথে এয়ারপোর্ট থেকে উধাও হলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন না বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজে তাদের দেখা যায়নি। জুবিলি হিলসের বাড়িতে থাকা জিপটির প্রতি নজর রেখেছে পুলিশ। তাদের খোঁজে গোটা শহর জুড়েই চলছে তল্লাশি। এমনিতেই ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্য হিসেবে গোটা দেশেই পরিচিতি রয়েছে তুলিদের। নাগপুরের বাড়িতেও নজরাদি চালাচ্ছে পুলিশ। শিক্ষা, হোটেল, পরিকাঠামো, নির্মাণ সংস্থা, অটোমোবাইল বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তাদের। অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে মুম্বই পুলিশ। তারপরেও কোনও আশার আলো দেখা যায়নি।
[ঘুম ভাঙেনি চালকের, আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল তেভাগা এক্সপ্রেস]
অন্যদিকে মোজো বিস্ত্রোর আর এক মালিক যুগ পাঠককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের ওয়ান অ্যাবাভ পাবে জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন আগুন লাগে। সংলগ্ন পাব মোজো বিস্ত্রোয় থাকা হুকাহ থেকেই আগুন ছড়িয়ে ছিল বলে খবর। দাহ্য পদার্থর কারণে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওয়ান অ্যাবাভে বাথরুমে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। যারমধ্যে ১১ জনই মহিলা। বার্থ ডে গার্লও প্রাণ হারান। ঘটনার পর থেকেই পলাতক দুই পাবের মালিকরা। স্থানীয় এনএম যোশী মার্গ থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মোজো বিস্ত্রোর মালিক যুগ পাঠককে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ। তুলি গা-ঢাকা দিয়ে আছেন। অন্যদিকে ওয়ান অ্যাবাভে তিন মালিক অভিজিৎ মানকর, জিগর সাংভি, কৃপেশ সাংভির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
[‘ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নয়, মাদ্রাসায় তৈরি হয় সন্ত্রাসবাদী’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.