সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না, তাই অসুস্থ স্ত্রীকে ভর্তি করেছিলেন সরকারি হাসপাতালে৷ স্ত্রীকে তো সুস্থ ফিরে পেলেনই না, উল্টে তাঁর মৃত্যুর পর একটি শববাহী গাড়ি দিতেও অস্বীকার করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ তাই অগত্যা ছেলের বাইকে চেপে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে গ্রামে ফিরলেন বিহারের শংকর শাহ৷
[সংরক্ষিত আসনে বসে অন্য কেউ? ক্ষতিপূরণ মিলতে পারে ৭৫,০০০ টাকা]
বিহারের পূর্ণিয়া জেলার রানিবাড়ি গ্রামে থাকেন বছর ষাটের শঙ্কর শাহ৷ খুবই গরিব পরিবার৷ শংকর ও তাঁর ছেলে দুজনেই দিনমজুরি করেন পাঞ্জাবে৷ গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন শংকরের স্ত্রী সুশীলা দেবী৷ আমচকাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ খবর পেয়ে ছেলেকে নিয়ে তড়িঘড়ি বাড়িতে ফেরেন শঙ্কর৷ স্ত্রীকে ভর্তি করেন পূর্ণিয়া জেলা হাসপাতালে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদযন্ত্রে সমস্যা ও যক্ষায় ভুগছিলেন বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা৷ শুক্রবার সকালে মারা যান সুশীলা দেবী৷ শংকর শাহ জানিয়েছেন, ‘স্ত্রীর মৃত্যুর পর আমাকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে বলা হল৷ আমি তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে বলি৷ আমাকেই ওরা গাড়ির ব্যবস্থা করে নিতে বলল৷’
[এবার শত্রু নিধনে সম্মুখ সমরে সেনার মহিলা জওয়ানরাও]
হাসপাতালে বেসরকারি শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা ছিল ঠিকই৷ কিন্তু সেই গাড়িতে করে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে ফিরবেন, এমন আর্থিক সামর্থ্য ছিল না শংকর শাহের৷ তবুও তিনি চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু গাড়ি চালক দেড় হাজার টাকা দাবি করায় আর কথা বাড়াননি শংকর৷ শেষমেশ ছেলের বাইকে চেপে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে গ্রামে ফেরেন তিনি৷
[উচ্ছেদ অভিযান রুখতে আধিকারিকদের দিকে মোষ লেলিয়ে দিল দখলদাররা]
ঘটনার সত্যতা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছে পূর্ণিয়া জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ হাসপাতালের চিকিৎসক এম এম ওয়াসিম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷ হাসপাতালে এখন একটাই শববাহী গাড়ি আছে৷ কিন্তু সেটি খারাপ৷ তাই মৃতের পরিবারকে আমরা গাড়ির ব্যবস্থা করে নিতে বলেছিলাম৷’ এদিকে, এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ণিয়ার জেলাশাসক পঙ্কজ কুমার পাল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.