Advertisement
Advertisement

জানেন, লালসা চরিতার্থ করতে কীভাবে মহিলাদের ফাঁদে ফেলত রাম রহিম?

হানিপ্রীতের অঙ্গুলিহেলনেই চলত এই চক্র?

Honeypreet ‘honey trapped’ women to satisfy Ram Rahim’s lust
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 18, 2017 7:07 am
  • Updated:September 18, 2017 7:39 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তার নারী লোলুপতার কথা আর অজানা নেই। জোড়া ধর্ষণ মামলায় এখন গারদের ওপারে স্বঘোষিত বাবা রাম রহিম। আর তারপর থেকেই একে একে ফাঁস হচ্ছে তার যৌন কুকীর্তি। এবার সে তালিকায় নতুন সংযোজন। জানা যাচ্ছে, বাবার কামনা চরিতার্থ করতে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল তার পালিতা কন্যা হানিপ্রীতেরই।

হানিপ্রীতের পর এবার উধাও বিপাসনা, কী চলছে ডেরার অন্দরে? ]

Advertisement

সাম্প্রতিক অতীতে আলোচনার কেন্দ্রে এই হানিপ্রীত। আদতে যে রাম রহিমের পালিতা কন্যা। কিন্তু তার সঙ্গে বাবার যৌন সম্পর্কও ছিল। জেলেও তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গোঁ ধরেছিল বাবা। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই সে গুড়ে বালি পড়েছে। রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের সম্পর্কের নানা পরত যেন প্রতিদিন নতুন করে উঠে আসছে। যৌনসুখ পেতে বাবার চেষ্টার কমতি ছিল না। অষ্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ে আসা সেক্স টনিক খেতেন নিয়মিত। ডেরায় ছিল কন্ডোম আর গর্ভনিরোধকের পাহাড়। বিলাসী যৌনতার কারণে জলের তলায় সেক্স গুহা বানিয়েছিল বাবা। আর এসবেরই সঙ্গী ছিল হানিপ্রীত। চব্বিশটি ঘণ্টা বাবার সঙ্গেই থাকত এই মেয়ে। তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্কের যে অভিযোগ তুলেছিলেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী তা একরকম সত্যি বলেই প্রমাণিত হচ্ছে। সম্প্রতি হানিপ্রীতের জিম ট্রেনারও সে কথাই জানাচ্ছেন। হানিপ্রীতের নাকি ক্যাটরিনার মতো জিরো ফিগারের শখ ছিল, এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি। যেরকম অসংযমী জীবনযাপন ছিল হানিপ্রীতের, তাতে জিম করাটা ছিল মাস্ট। মেয়ের সঙ্গে বাবাও আসত। আর তাদের কথোপকথন থেকেই মহিলাদের ফাঁসানোর চক্রের ইঙ্গিত মিলত।  জানা গিয়েছে, বাবার কামনা চরিতার্থ করার জন্য বিষকন্যারা সক্রিয় ছিল। তারাই সাধ্বীদের ধরে এনে বাবার ডেরায় ঢোকাত। পিতা কি মাফি- এই কোড নামেই চলত যৌনাচার। তবে এই বিষকন্যাদের নাটের গুরু বোধহয় ছিল হানিপ্রীতই। যে মহিলাকেই বাবার মনে ধরত, স্বঘোষিত বাবা নিজের পালিতা কন্যাকেই তার কথা বলত। হানিপ্রীত ছলে বলে কৌশলে তাকে বাবার কাছে এনে হাজির করাত। তারপর ওই মহিলাদের মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ানো হত। রাম রহিম নিজেও ড্রাগ আসক্ত ছিলেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে এই মহিলাদের মাদক দেওয়া হত। সেই মাদকের ঘোরেই নিরূপায় হয়ে বাবার চাহিদার কাছে বশ্যতা স্বীকার করতেন মহিলারা। আর এ সবকিছুই হত হানিপ্রীতেরই অঙ্গুলিহেলনে। নিজের চোখের সামনেই অন্য মহিলাদের ধর্ষিতা হতে দিত সে।হরিয়ানার প্রথম ৪৩ জন অপরাধীর মধ্যে তাই একটি নাম-হানিপ্রীত।

সিরসাতেই লুকিয়ে পুলিশের চোখে ধুলো হানিপ্রীতের!  ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement