Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে পণ্য বিক্রি করে ৯০০ কোটি ডলার আয় গৃহবধূদের

আসন্ন ২০২২-এর মধ্যে ৪৮-৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারবেন গৃহবধূরা৷

Homemakers making whooping turn over by selling goods through WhatsApp, Facebook
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 1, 2017 11:37 am
  • Updated:June 1, 2017 11:37 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদের পূজা সিং বিয়ের পর দিব্যি ঝাড়খণ্ডে নতুন সংসার পেতেছেন৷ কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে হায়দরাবাদে তাঁর একটি ছোট পোশাকের দোকান নিয়ে৷ বিয়ের আগে অল্প পুঁজি জমিয়ে স্বাধীনভাবে পোশাকের ব্যবসা খুলেছিলেন পূজা৷ কিন্তু সেই দোকান তো আর ঝাড়খণ্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না৷ আর একটি নতুন দোকান না খুলে তাঁই পূজা সিদ্ধান্ত নিলেন, জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ মারফত তাঁর প্রডাক্ট বিক্রি করবেন৷ এক্ষেত্রে তিনি হবেন একজন রি-সেলার৷

[৫ পাক সেনাকে নিকেশ করল ভারতীয় সেনার স্পেশ্যাল ফোর্স]

অনলাইন রিটেল মার্কেটকে ব্যবহার করে এভাবেই পূজার মতো অনেক গৃহিণীই তাঁদের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবহার করে৷ ই-কমার্সে জোয়ারকে কাজে লাগিয়ে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন গৃহিণীরা৷ কনসালটেন্ট ফার্ম Zinnnov এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০ লক্ষেরও বেশি গৃহবধূ এখন বিভিন্ন লাইফস্টাইল প্রডাক্ট, পোশাক বিক্রি করছেন ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত৷ ফ্লিপকার্ট, আমাজন-এর মতো ই-কমার্স সাইট যখন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তাদের ব্যবসা ও মুনাফার কথা ঘোষণা করছে, তখন প্রায় নিঃশব্দে মহিলারা ৮-৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছেন৷ ২০২২-এর মধ্যে এই দুই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে গৃহবধূরা অন্তত ৪৮-৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে Zinnnov৷

Advertisement

সংস্থার একটি সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, অনলাইন রি-সেলাররা মূলত গৃহবধূ, তাঁদের মধ্যে কারও নিজস্ব ছোট ব্যবসা রয়েছে৷ কেউ কেউ আবার বেকার শিক্ষিত বেকার যুবক, যাঁরা সাধারণত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন৷ সাপ্লায়ারদের মজুত করা বিপুল স্টক থেকে অল্প অল্প করে পণ্য সংগ্রহ করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেন তাঁরা৷ মোট অর্ডার ভ্যালুর উপর প্রতিক্ষেত্রেই ১৫-২০ শতাংশ লাভ রাখেন বিক্রেতারা৷ পূজা সিং জানিয়েছেন, প্রতি মাসে অন্তত ৭০-৮০টি করে পোশাক তিনি বিক্রি করতেন৷ মহিলা রি-সেলারদের বাজার প্রতি বছর ৪০-৫০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের৷ ভারতে স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি পাল্লা দিয়ে বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷

[সন্তানদের স্কুলের খরচ যোগাতে কিডনি বিক্রি করতে চাইলেন মা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement