Advertisement
Advertisement
Jammu And Kashmir

শান্তি ফিরেছে ভূস্বর্গে, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে নয়া রিপোর্টে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

দাবি, এখন কাশ্মীরে সবাই গণতন্ত্রের অর্থ বুঝেছেন।

Home ministry report says terrorism in Jammu And Kashmir under control। Sangbad Pratidin

ফাইল চিত্র

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 5, 2023 1:45 pm
  • Updated:January 5, 2023 1:45 pm  

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দলের দাবি আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট মিলেমিশে একাকার। মোদি জমানায় ভূস্বর্গে শান্তি ফিরেছে। কাশ্মীরের মানুষ সেনাদের পাথর ছোঁড়ে না। বারবার এমনটাই দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতারা। দলের নেতাদের দাবি ‘হুবহু’ প্রকাশ করল অমিত শাহর (Amit Shah) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মন্ত্রকের দীর্ঘ রিপোর্ট দলের দাবিকেই মান্যতা দিল।

রিপোর্টে প্রকাশ, একসময় সন্ত্রাসের ঘাঁটি ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। মোদি সরকারের প্রচেষ্টায় সন্ত্রাসের আঁতুরঘর এখন বাস্তবিক ভূস্বর্গ। পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে কাশ্মীর (Kashmir)। উল্লেখযোগ্য ভাবে অক্টোবরে কাশ্মীরে একটি অনুষ্ঠানে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরে আর পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে না, সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘সুশাসনে’র জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ক্যানসারে ভুগছেন ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র বাপিদা, ‘শিল্পীর পাশে দাঁড়ান’, অনুরোধ রূপম, সিধুদের]

গত সপ্তাহেই মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেও শাহ একই দাবি করেন। সেই বক্তব্যের প্রতিধ্বনিই পাওয়া গেল মন্ত্রকের রিপোর্টে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত কাশ্মীরে প্রায় ২৫ লক্ষ পর্যটক এসেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ এবং রাজ্যটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর সেখানে সন্ত্রাসবাদী ঘটনা যে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।

বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে কাশ্মীরে ৪১৭টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। আর ২০২১ সালে কমে হয়েছে ২২৯টি। ২০১৮ সালে একবছরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৯১ জন মারা গিয়েছিলেন। তবে বিতর্ক দানা বেঁধেছে রিপোর্টের ‘রাজনৈতিক ভাষ্য’ নিয়ে। এক জায়গায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরের ৪২ হাজার মানুষ সন্ত্রাসবাদের শিকার হলেও দীর্ঘ দিন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদকে ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনতে সক্ষম হয়েছে সামরিক বাহিনী। রিপোর্টে দাবি, আগে কাশ্মীরের গণতন্ত্র মানে ছিল তিনটি পরিবারের গণতন্ত্র। কিন্তু এখন কাশ্মীরে সবাই গণতন্ত্রের অর্থ বুঝেছেন।

[আরও পড়ুন: মা হওয়ার পর কেমন কাটছে দিন? মেয়েকে স্তন্যপানের ছবি পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন বিপাশা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement