সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসা কোনও দেশের সীমানা মানে না ঠিকই। কিন্তু কখনও কখনও সীমান্তের বেড়াজাল দুটি হৃদয়ের এক হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। আর দেশ দুটির নাম যদি হয় ভারত ও পাকিস্তান, তাহলে তো সমস্যা আরও বাড়ে। ঠিক যেমনটা হয়েছে লখনউয়ের তরুণ সৈয়দ সারিক হাসমি ও করাচির তরুণী সাদিয়া মেহরানের ক্ষেত্রে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, বছর পাঁচেক আগেই চার হাত এক হয়ে যেত। কিন্তু, তা আর হল কই! দু’-দুবার সাদিয়ার ভিসা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাস। তাই বিয়ে পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত সাদিয়া ও সারিকের পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
[মোদিকে ‘অপমান’, বিপাকে কমেডি গ্রুপ AIB]
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা সৈয়দ সারিক হাসমি পেশায় ব্যবসায়ী। ২০১২ সালে দুর সম্পর্কের আত্মীয় করাচির বাসিন্দা সাদিয়া মেহরানের সঙ্গে তাঁর বিয়ের সম্বন্ধ করেন পরিবারের লোকেরা। বিয়ের দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে যায়। ভারতের বিয়ে করতে আসার জন্য ভিসা চেয়ে ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসে আবেদন করেন সাদিয়া। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বিয়েও পিছিয়ে যায়। এরপর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। আর অপেক্ষা করতে চাইছে না দুই পরিবার। আগামী ১ আগস্ট শুভকাজটি সেরে ফেলতে চান তাঁরা। কিন্তু, এবারও বাদ সেধেছে ভিসা সমস্যা। ফের সাদিয়ার ভিসার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভারতীয় দুতাবাস। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাদিয়া ও সারিকের সমস্যা সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশিত হয়। এরপরই নড়চড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই সাদিয়ার ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ওই তরুণ-তরুণীর আশাহত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ওই পাক-তরুণী যাতে ভারতে আসা ভিসা পান, সেজন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব। ‘
[যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে! আর কোনওদিন ‘বাংলাদেশের পরিচারিকা’ নিয়োগ করবে না এই শহর]
করাচির সাদিয়াকে বিয়ে করার জন্য পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন লখনউয়ের সারিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি তিনি। সারিক বলেন, ‘আমরা সত্যিই চাই, সমস্যাটা মিটে যাক। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উদ্যোগ নিয়েছে জেনে খুবই ভাল লাগছে।’ অন্যদিকে সাদিয়া জানিয়েছেন, ভারতকে ভালবাসেন তিনি। বিয়ের পর এদেশেই থাকতে চান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.