সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট (একিউআইএস) এবং আইএসের শাখা সংগঠন ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্সকে পাকাপাকি ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১৯ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে নির্দেশিকা জারি করে এই দুই গোষ্ঠীকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন বা Unlawful Activities (Prevention) Act (ইউএপিএ)-তে দোষী সাব্যস্ত করে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও উপ-মহাসাগরীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেরর সঙ্গে স্পষ্ট যোগ পাওয়া গিয়েছে এদের৷ মগজধোলাই করে যুবকদের জিহাদি কার্যকলাপে যুক্ত হতে বাধ্য করছে এরা৷
[খতম শীর্ষ আইএস কমান্ডার, উপত্যকায় জঙ্গি দমনে সেনার বিরাট সাফল্য]
২০১৪-তে তাদের শাখা সংগঠন একিউআইএস খোলার পর, অাসীম উমরকে এর শীর্ষ নেতা ঘোষণা করেছিল আল কায়দা। একই ভাবে মূলত আফগানিস্তানে কাজ করলেও ভারতে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছিল আইএসের শাখা, ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্স৷ ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এদের নাম৷ এমনকী ভারত থেকে যে সমস্ত জঙ্গি রিক্রুটার পাকড়াও হয়েছে তাদের জেরা করেও এই দুই জঙ্গি সংগঠনের নাম পেয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এনআইএর অফিসাররা৷
[২০১৯-এ তিনশোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়ব, আত্মবিশ্বাসী পীযূষ গোয়েল]
জেরায় পাওয়া তথ্যানুযায়ী জানা গিয়েছে, মূলত উপ-মহাদেশীয় অঞ্চলে যুবকদের টার্গেট করত এই রিক্রুটাররা৷ প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত৷ তারপর গড়ে তোলা হত সুসম্পর্ক৷ অতিসন্তর্পণে চলত জেহাদি প্রশিক্ষণ৷ খিলাফতের নামে শেখানো হত নাশকতা৷ তাদের পাঠান হত ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে৷ সেখানে চলত সম্পূর্ণ জঙ্গি তৈরির প্রশিক্ষণ৷ অবশেষে নতুন জঙ্গিদের পাঠিয়ে দেওয়া হত ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশে৷ কেবল ভারতই নয়, অনেকদিন আগেই একিউআইএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রসংঘ, আমেরিকা, কানাডা৷ একইভাবে ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রভিন্সকেও কালো তালিকাভুক্ত করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ ও আমেরিকা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.