গণপিটুনি থামাতে নয়া মন্ত্রিগোষ্ঠী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে বাড়তে থাকা গণপিটুনির ঘটনা প্রতিরোধে প্রথম মোদি সরকারের আমলে গত বছর একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠিত হয়েছিল। এবার আবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে সেই মন্ত্রিগোষ্ঠী। আর তার নেতৃত্বে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি, আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাওহরচন্দ্র গেহলট এই কমিটিতে থাকছেন।
[আরও পড়ুন: নর্দমায় ভেসে বেড়াচ্ছে ৮ ফুট লম্বা কুমির, চাঞ্চল্য মহারাষ্ট্রের চিপলুনে]
উল্লেখ্য, সদ্য গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট নোটিস জারি করে কেন্দ্র সরকার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য সরকারগুলির কাছ থেকে জানতে চেয়েছে যে, গণপিটুনির রোধে শীর্ষ আদালতের জারি করা নির্দেশিকা কতটা পালন করা হয়েছে। এরপরেই ২৪ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি রাজ্যসভায় জানান, সরকার একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করছে, যারা গণপিটুনি রোধের জন্য বিভিন্ন উপায়ের সুপারিশ করবে। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গত বছর সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে গণপিটুনি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল। তার ভিত্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় গণপিটুনিতে উসকানিমূলক পোস্ট বন্ধ করতে পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। কিন্তু তাতে কতটা কাজ হয়েছিল সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
গত বছরই মে-জুন মাসের মধ্যে দেশে গণপিটুনির ঘটনায় কুড়ি জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশু অপহরণ গুজব থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবরের ভিত্তিতে এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটেছে বলে পর্যবেক্ষণে জানা যায়। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বু্যরোর রিপোর্টে গণপিটুনিতে মৃতু্যর ঘটনার আলাদা করে হিসাব থাকে না। তা খুনের ঘটনার সারণীতেই থাকে। তাই দেশে গণপিটুনিতে কত জন মারা গিয়েছে সেই সংখ্যার হিসেব মেলা কঠিন।
গণপিটুনির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সরকারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। বিষয়টিতে সরকারকে কাঠগোড়ায় তোলা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই দেশের বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীমহলের একাংশ এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। গণপিটুনি ইসু্য সরকারের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্র নড়েচড়ে বসেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেকারণেই প্রধানমন্ত্রীর পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দু’নম্বর ব্যক্তি শাহ-কে মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রধান করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয় হলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে দেশের যে কোনও রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটলে শাহ তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন, এই বিষয়টিকেও কেন্দ্র মাথায় রেখেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘পিৎজা ডেলিভারি করছি না বিল পাশ!’, কেন্দ্রকে কটাক্ষ ডেরেকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.