Advertisement
Advertisement

কাশ্মীরে শহিদ সেনা অফিসার উমর ফৈয়াজের মৃত্যুর জন্য দায়ী হিজবুল!

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে শহিদ সেনা জওয়ান উমর ফৈয়াজের মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনেরই। পুলিশের কাছ থেকে চুরি করা একটি ইনসাস বন্দুক দিয়েই মারা হয়েছিল উমরকে। প্রাথমিক তদন্তের পর উঠে আসছে এমনই তথ্য। বৃহস্পতিবার এ কথা জানালেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক। পাশাপাশি আরও বলেন, ফৈয়াজের দেহে অত্যাচারের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।আরও […]

Hizbul Mujahidin behind murder of army officer in Kashmir
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 11, 2017 4:20 pm
  • Updated:May 11, 2017 4:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে শহিদ সেনা জওয়ান উমর ফৈয়াজের মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনেরই। পুলিশের কাছ থেকে চুরি করা একটি ইনসাস বন্দুক দিয়েই মারা হয়েছিল উমরকে। প্রাথমিক তদন্তের পর উঠে আসছে এমনই তথ্য। বৃহস্পতিবার এ কথা জানালেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক। পাশাপাশি আরও বলেন, ফৈয়াজের দেহে অত্যাচারের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

[বাংলাদেশের রাজশাহীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, নিহত ৫ ফিদায়েঁ জঙ্গি]

মূলত যেভাবে এই নক্ক্যারজনক কাজটি করা হয়েছে, তাতে প্রাথমিক সন্দেহের তির হিজবুল জঙ্গিদের দিকেই। এমনটাই জানালেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি এস জি এম গিলানি। তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে সোপিয়ানে সক্রিয় হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের হাতই রয়েছে।’ উমরের দেহটি যেখানে পড়েছিল সেখানে ইনসাস বন্দুকের দু’টি খালি কার্তুজও পাওয়া গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলিশের কাছ থেকে দু’বার বন্দুক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কুলগাম জেলার ঘটনার পিছনে হাত ছিল লস্করের জঙ্গিদের আর সোপিয়ানের কোর্ট চত্বরের ঘটনার জন্য দায়ী ছিল হিজবুল জঙ্গিরা। তাই উমরকে মারতে যে বন্দুকটি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা, সেটি এই দু’টি ঘটনায় চুরি যাওয়া বন্দুকগুলিরই একটি।’ এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক বা পুলিশ অফিসার যারা উমরের শরীর পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা কেউই শহিদ জওয়ানের শরীরে অত্যাচারের কোনও চিহ্ন পাননি।’

Advertisement

[বরকতিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৫ মে লালবাজার অভিযান বিজেপির]

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের কুলগাম এলাকারই বাসিন্দা উমর। গতবছরই ভারতীয় সেনার চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। এই স্বল্প পরিসরেও সেনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন। আখনুর জেলার রাজরিফ এলাকায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কয়েকদিনের জন্য ছুটিতে ছিলেন। গিয়েছিলেন এক বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। পুলিশ ও সেনার অনুমান, সেখান থেকে ফেরার পথেই অতর্কিতে সেনা-আধিকারিকের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তুলে নিয়ে গিয়ে কোনও নির্জন স্থানে নির্মমভাবে হত্যা করে উমরকে। এরপর সোপিয়ান জেলার হারমেন গ্রামে ফেলে রেখে যায়। গুলিতে প্রায় ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল তরুণ আধিকারিকের দেহ।

[আইএস-এর যন্ত্রণা নিবারণে ওষুধ যাচ্ছে ভারত থেকে!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement