ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : উপত্যকায় বড় সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল হিজবুল মুজাহিদিনের চিফ অপারেশনস কমান্ডার ইয়াসিন ইট্টুর। গজনভি নামে পরিচিত এই জঙ্গি ছাড়াও নিকেশ করা গেছে আরও দুই জঙ্গিকে। তবে কুড়ি ঘন্টা ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন দুজন ভারতীয় সেনা জওয়ানও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতেই সোপিয়ানের আবনিরা গ্রামে অভিযান চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সেনা, ও সিআরপিএফ-কে নিয়ে তৈরি স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি।
[হিজবুল কমান্ডার সবজার ভাটের হদিস দিয়েছিল সঙ্গীরাই]
জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে জওয়ানরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। জখম হন পাঁচজন জওয়ান। এদের মধ্যে হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়। রাতভর বিক্ষিপ্তভাবে গুলির বিনিময় চলে।
[ভূস্বর্গে আঘাত হানতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে হিজবুল]
নিহত তিন জঙ্গিকেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ইয়াসিন ইট্টু, বাকি দুজন ইরফান ও উমর। ইরফান হিজবুলের অনলাইন প্রচারের দায়িত্বে ছিল। ইট্টুর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ছিল উমর। ইট্টু মধ্য কাশ্মীরের বাদগাম জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য সে। ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইট্টুর।২০০৭ সালে একবার আত্মসমর্পণ করলেও, ২০১৪ সালে প্যারোলে মুক্তি পায়। তারপরেই হিজবুলের স্বঘোষিত অপারেশনস প্রধান হয়ে ওঠে সে।
[ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন চিনা বিমান সংস্থার কর্মীরা!]
অন্যদিকে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন দুই সেনা জওয়ানও। শহিদদের মধ্যে রয়েছে পি ইলিয়ারাজা ও গাবাই সুমেধ ওয়ামান। ইলাইয়ারাজার বাড়ি তামিলনাড়ুর কান্দানি গ্রামে। ওয়ামান মহারাষ্ট্রের লোনাগ্রা গ্রামের বাসিন্দা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.