প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সংসদে পেশ হতে চলেছে এক দেশ এক ভোট বিল। বহুচর্চিত এই বিলের পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে প্রচুর যুক্তি। এনডিএ সরকার এই বিল পাশ করাতে মরিয়া। অন্যদিকে হুইপ জারি করে বিলের বিরোধিতা করতে কোমর বেঁধেছে তৃণমূল-কংগ্রেসের মতো দলগুলো। কিন্তু ইতিহাস বলছে, এই প্রথমবার নয়। আগেও দীর্ঘদিন এক দেশ এক ভোট প্রচলিত ছিল ভারতে।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা সংবিধান (১২৯ সংশোধনী) বিল, ২০২৪, এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ অনুমোদন করে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় লোকসভায় বিলটি পেশ করবেন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর ও পুদুচেরির জন্য আলাদাভাবে পেশ হবে বিল। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, এক দেশ এক ভোট কার্যকর হলে ভেঙে পরবে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো। পালটা কেন্দ্রের যুক্তি, নির্বাচনের বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে এই নতুন পদ্ধতিতে।
ভারতের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে কিন্তু এক দেশ এক ভোটের নিয়মই বলবৎ ছিল। ১৯৫১-৫২ সালে প্রথমবার ভোটে অংশগ্রহণ করে স্বাধীন ভারত। লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় একসঙ্গে নির্বাচন হয়। সেই একই নিয়মে ১৯৫৭, ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালে ভোট হয়। এক দফাতেই গোটা দেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল ১৯৬৭ সালের। কেবল তৎকালীন উত্তরপ্রদেশে চার দফায় ভোট হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন হয় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।
কিন্তু ১৯৬৭ সালের পর থেকে ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকে। ১৯৬৮ থেকে বেশ কিছু রাজ্যে সরকারের পতন শুরু হয়। ১৯৭০ সালে ভেঙে যায় লোকসভাও। ফলে ১৯৭১ সালে নতুন করে লোকসভা নির্বাচন আয়োজন করতে হয়। নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলির মেয়াদ যেহেতু তখনও ফুরায়নি, তাই সেখানে নির্বাচন হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ে ওই রাজ্যগুলিতে আবার ভোট করাতে হয়। ফলে লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে সময়ের ব্যবধানে হেরফের দেখা যায়। বর্তমান সময় পর্যন্ত এই প্রথাই চলে আসছে গোটা দেশে। ঐতিহাসিক বিল পাশ করে কি আবার সেই পুরনো ব্যবস্থা ফিরবে দেশে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.