সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কামসূত্রর পীঠস্থানেই কামসূত্রকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চায় একটি হিন্দু সংগঠন। রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পাওয়া মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলার খাজুরাহো মন্দিরের ভিতর কামসূত্রর বই বিক্রি নিষিদ্ধ করতে চায় বজরং সেনা। বজরং সেনার সদস্যরা গত মঙ্গলবার ছত্রপুর পুলিশ স্টেশনে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সেনার দাবি, কামসূত্রর মতো বই মন্দিরের ভিতর বিক্রি হওয়াটা ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী। তাঁদের অভিযোগ, ওই বইয়ে অশ্লীল ও অস্বাভাবিক যৌন প্রক্রিয়ার ছবি রয়েছে যা মন্দিরের ভিতর কোনওভাবেই বিক্রি হওয়া উচিত নয়। অথচ খাজুরাহো মন্দিরকে ভারতের অন্যতম সৌন্দর্য্যমন্ডিত মন্দির হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিল্পের দিক থেকে বিবেচনা করলে সম্ভবত এই ধরনের মন্দির ভারতে আর দ্বিতীয়টি নেই। অনেকে এই মন্দিরকে ‘টেম্পল অফ লাভ’ বলেন, কারণ এখানে দেবতাদের ভালবাসার প্রতিকৃতি অপূর্ব কারুকার্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
বজরং সেনার খাজুরাহো ইউনিটের প্রেসিডেন্ট জ্যোতি আগরওয়াল খাজুরাহো পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার ইসরার মনসৌরির কাছে একটি প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছেন। সেনার দাবি, মন্দিরের ভিতর যে বই ও প্রতীকী মূর্তি বিক্রি হয়, তা অবিলম্বে বন্ধ করুক পুলিশ-প্রশাসন। বিশেষত, ট্যুরিস্ট ক্যান্টিনে ওই ‘অশ্লীল’ ছবি-সহ বই, মূর্তির বিক্রি ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী বলে দাবি জানিয়েছে বজরং সেনা। আগরওয়াল বলছেন, “কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রকের নাকের ডগায় এই ধরনের অশ্লীল বই বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে বিদেশি পর্যটকদের চোখে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।” পুলিশের পাশাপাশি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও পর্যটনমন্ত্রকের কাছেও এই অভিযোগ জানাবে বজরং সেনা। জ্যোতি আগরওয়ালের কাছে জানতে চাওয়া হয়, মন্দিরের ভিতর বই বিক্রি নিয়ে আপত্তি থাকলে, মন্দিরে গায়ে খোদাই করা মূর্তি নিয়ে কেন বিরোধিতা করছেন না? উত্তরে তিনি বলেন, “ওই ভাস্কর্য বহু প্রাচীন, সেগুলি নিয়ে বর্তমানে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.