সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিরোধী বিক্ষোভে নাজেহাল অসম সরকারের নেতামন্ত্রীরা। এতটাই যে, রাজ্যের দোর্দন্তপ্রতাপ নেতা তথা অসম বিজেপির চাণক্য হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Himanta Biswa Sarma) মাত্র পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা যেতে হল হেলিকপ্টারে। কোনওভাবেই যাতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের আঁচ মন্ত্রীমশাইকে স্পর্শ করতে না পারে, সেজন্যই তাঁর জন্য চপারের ব্যবস্থা।
শনিবার অসমের তেজপুরে অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। কাকতালীয়ভাবে ওই দিনই তেজপুরে কর্মসূচি ছিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। তেজপুর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে দলের বিধায়ক রাজেন বরঠাকুরের স্মরণসভায় যাওয়ার কথা ছিল হিমন্তর। দিনকয়েক আগেই প্রয়াত হয়েছেন রাজেন।
বিক্ষোভের জেরে গুয়াহাটি থেকে হেলিকপ্টারেই তেজপুর যান হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যদিও, সড়ক পথে গুয়াহাটি থেকে তেজপুর মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের রাস্তা। পরিকল্পনা ছিল, তেজপুর নেমে সড়ক পথে ঘোড়ামারিতে রাজেন বড়ঠাকুরের স্মরণসভায় যাবেন রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী। কিন্তু, অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (AASU) নেতা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন, ঘোড়ামারিতে হিমন্তকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পূর্ব পরিকল্পনা মতো এএএসইউ কর্মীরা ১৫ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু করে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল তাঁরা। এই ১৫ নম্বর জাতীয় সড়ক আবার তেজপুর ও ঘোড়ামারির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আর ওই সড়কপথে ঘোড়ামারি যাওয়াটা সমীচীন মনে করেননি হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তাও হেলিকপ্টারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবং হেলিকপ্টারে চেপেই স্মরণসভায় যোগ দেন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হয়েছে, তার শুরু থেকেই অসমের নেতামন্ত্রীদের টার্গেট করা হয়েছে। এর আগে একাধিক মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিজেপি কার্যালয় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও ঢিল ছুঁড়েছে বিক্ষোভকারীরা। সেকারণেই হয়তো ঝুঁকি নিতে চাননি অর্থমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.