ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের, অথচ চার মাস হল CAA চালু হয়ে গেলেও অসমে নাগরিকত্বের জন্য মাত্র ৮ জন আবেদন করেছেন। সোমবার আক্ষেপের সুরে একথা জানালেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যাঁরা ২০১৫ সালের আগে ভারতে এসেছেন, নাগরিকত্ব আইনের শর্ত মেনে আবেদন না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করবে সরকার। আর যাঁরা ২০১৫ সালের পরে এসেছেন, তাঁদের নির্বাসিত করা হবে।
অসমে অনুপ্রবেশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে হিন্দু বাঙালিদের একটি বিশাল জনসংখ্যা এই রাজ্যে বসতি গড়েছে। পড়শি রাজ্য বাংলাদেশ থেকে বাঙালি মুসলমানদের অবৈধ অনুপ্রবেশও একটি বড় সমস্যা। যদিও সোমবার সাংবাদিকদের হিমন্ত জানান, চার মাস সিএএ চালু হয়ে গেলেও অসমে নাগরিকত্বের জন্য মাত্র ৮ জন আবেদন করেছেন। তাঁর মধ্যে মাত্র ২ জন ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন। এই অবস্থায় অসমের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “যাঁরা ২০১৫ সালের আগে ভারতে এসেছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদনে অগ্রাধিকার পাবেন। আবেদন না করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যাঁরা ২০১৫ সালের পরে এসেছেন, তাঁদের আমরা নির্বাসিত করব।” প্রশ্ন হল, CAA-তে এত কম সংখ্যক আবেদন পড়েছে কেন? হিমন্ত জানান, অনেকেই নিজেদের নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত। মনভাব হল, প্রয়োজনে আদালতে তা প্রমাণ করবেন। হিমন্তের বক্তব্য, “৫০ লক্ষ মানুষ এই আইনের অধীনে নাগরিকত্ব পাবেন।”
পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলেও বিধি নিয়ে জট থাকায় তা এতদিন বলবৎ করা যায়নি। গত ১১ মার্চ গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে CAA কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। চার বছরের অপেক্ষার পর বিতর্কিত এই আইন কার্যকর হয়। আগ্রহীদের জন্য বিশেষ পোর্টালও তৈরি করে কেন্দ্র। সেই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করেই নাগরিকত্ব পেলেন এই ১৪ জন।
১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে সিএএ-র ফারাক উসকে দিয়েছে বিতর্ক। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে কোনও ধর্মের উল্লেখ ছিল না। ২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকার যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়েছে তাতে স্পষ্টত ধর্মের উল্লেখ আছে। আর সেটাতেই আপত্তি ছিল মমতা-সহ বিরোধীদের। যদিও সেই আপত্তি ধোপে টিকল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.